‘লেখার মেলবন্ধনে, একত্রিত হও লেখক বন্ধু’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলন ২০২৪’ এর প্রথমদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় তিন শতাধিক তরুণ লেখক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন ও হাসনা বেগম আশার সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং স্বাধীনতার চেতনায় আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এ লক্ষ্যে আমরা কবি-সাহিত্যেক হব। আমাদের শিশুরা প্রাইমারিতে পড়াশোনা থেকে বিমুখ হচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল এবং মাদকের প্রতি যে আসক্তি তা নিয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। আপনাদের মানসিকতা মূলত বাংলাদেশের মানসিকতা। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। লেখক ফোরামের মাধ্যমে আমরা আগামীতে শ্রেষ্ঠ লেখক পাব।
প্রথম দিনের সম্মেলনে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইত্তেখারুল ইসলাম সিফাতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। এছাড়াও প্রধান আলোচক ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, প্যানেল আলোচক কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, চবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রাশেদ রউফ এবং সম্মেলনের আহবায়ক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আলিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, আমাদের আশাবাদী হওয়ার অনেক জায়গা রয়েছে এর মধ্যে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম অন্যতম। গবেষণা, পরিশ্রম এবং পড়াশোনার মাধ্যমে আমরা দেশের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারি। লেখক আর পাঠকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পাঠকরা পড়ে মুগ্ধ হয় অপরদিকে লেখকরা কোন বিষয় পড়ে মুগ্ধ হয় এবং চিন্তা করে। পড়ার মাধ্যমেই লেখক হতে হবে। পড়ার বাহিরে গিয়ে কেউ লেখক হতে পারে না। পবিত্র কলম দিয়ে আমরা যেন মানুষের উপকার করতে পারি। পৃথিবীতে লেখার মাধ্যমে আমাদের ফুল ফোটাতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, পত্রিকায় কলাম লেখকরা সমাজের বিভিন্ন সমস্যাগুলো সমাজের মানুষ দেশ, রাষ্ট্র এবং সরকারের কাছে তুলে ধরেন। কলামে আমাদের আবেগ যুক্তি তথ্য- উপাত্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানান দেওয়া। লেখালেখিতে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবধান চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর নির্ভর করে। লেখায় আমাদের ভাষার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, দুইদিন ব্যাপী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক আবুল মোমেন এবং চবির ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ