চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

আধুনিক শিক্ষা পরিবেশে ডিজিটাল কলেজ সিএসবিএইচ

২৩ জুন, ২০২৪ | ৪:১৯ অপরাহ্ণ

উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির আবেদনশেষে প্রাথমিক পর্যায়ের ফল প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড এর প্রাথমিক আবেদন করা ১ লাখ ৭ হাজার ১৫১ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১লাখ ৪ হাজার ৮০১ জন কলেজ বরাদ্দ পেয়েছে। আর ২ হাজার ২৮০ জন কোন কলেজই পায়নি,যাদের অধিকাংশই জিপিএ-৫! আবার যারা কলেজে আসন পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেরই পছন্দের কলেজটি নেই। সরকারী কলেজগুলোতে বিজ্ঞান বিভাগে কেবল গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই সুযোগ পেয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী কাংখিত কলেজ না পেয়ে ভুগছে স্বপ্ন ভংগের বেদনায়! অনেকে এমন কলেজ পেয়েছে যা শহরএলাকা থেকে অনেক দূরে,যেখানে পড়া সম্ভব নয়কিংবা পরিবেশ মানসম্মত নয়। সবকিছু মিলে হাজারো শিক্ষার্থী ও অভিভাব করয়েছেন পরম দুশ্চিন্তায়।
ফলে এসব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এখন একমাত্র ভরসা প্রাইভেট কলেজ। তাই উদ্বিগ্ন অভিভাবকের একমাত্র চাওয়া বেসরকারী হলেও একটি ভালো কলেজ, যেখানে তার সন্তান নিরাপদে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বছর শিক্ষা লাভ করবে। এক্ষেত্রে সচেতন অভিভাবকবৃন্দের প্রথম পছন্দ হতে পারে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বাংলা ভার্সন ও ইংরেজী ভার্সনে (ন্যাশনাল কারিকুলাম) পরিচালিত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কলেজ অব সায়েন্স, বিজনেস এন্ড হিউমিনিটিজ (CSBH) (EIIN-134780), কলেজ কোড : ৩৬২১। কেননা ডিজিটাল এই কলেজটি তার ক্যাম্পাস পরিবেশ, সমন্বিত পাঠব্যবস্থাপনা ও ভালো ফলাফল এর মাধ্যমে নগরীর শিক্ষাঙ্গনে একটি বিশেষ স্থান গড়ে নিয়েছে। বিগত ২০২১ সালে ৪০ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাস এবং ২০২২ সালে ১১ জন জিপিএ-৫ সহ ৯৪% এবং ২০২৩ সালে ১০জন জিপিএ-৫ সহ ৯০% পাশের কৃতিত্ব অর্জন করেছে কলেজটি!
কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাউদ্যোক্তা মেহরাব মাসুক, এমবিএ (আইবিএ), যিনি চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ইংলিশ ল্যাংগুয়েজসেন্টার এক্সিকিউটিভ’স কেয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা। সম্মানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়েছেন এই কলেজের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহএবং আবেদন বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
অভিজ্ঞ শিক্ষক : CSBH-এ রয়েছেন অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকমণ্ডলী। ১ম স্তরে স্ব স্ব বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী নবীন শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে নির্বাচিত করা হয়েছে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে। এছাড়াও স্টুডেন্ট সাইকোলজীতে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে প্রত্যেক শিক্ষককে। অধ্যক্ষ রূপে রয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারীমহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, অধ্যাপক সুবীর দাশ।
আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি : আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি সুশৃংখল, বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিনির্ভর। প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যসমূহকে জ্ঞান, অনুধাবন , প্রয়োগ ও বিশ্লেষণ অনুক্রমে বিন্যস্ত করেছি আমরা। গতানুগতিক লেকচার এর পরিবর্তে প্রতিটি শিক্ষক পাঠ্য বিষয়ের উপর বাংলা ও ইংরেজী ভার্সনে তৈরি করেন সমৃদ্ধ লেকচারশীট ও এম সি কিউ প্র্যাকটিস শীট। ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে বিষয় উপস্থাপন, পর্যালোচনা, এসাইনমেন্ট, কুইজ প্রতিযোগিতা ও প্রজেক্ট এনালাইসিসের মাধ্যমে পাঠকে করা হয় সহজবোধ্য যাতে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্ন সহজে সমাধান করতে পারে। ওভারহেড প্রজেক্টর ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে লেকচারশীট ভেসে ওঠে পর্দায়। একই সময়ে হোয়াইট বোর্ডে শিক্ষক তা বুঝিয়ে দেন ডায়াগ্রাম এর মাধ্যমে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৩০ জনের প্রতিটি ক্লাসে প্রত্যেক ছাত্রের নিবিড় যত্ন নেন শিক্ষকগণ। লেকচারশীট ও এম সি কিউ প্র্যাকটিস শীট সলভ করার পর অধ্যায় ভিত্তিক হ্যান্ডনোট পায় শিক্ষার্থীরা। ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় সহজে অনুধাবন করার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে তাদের ট্যাব-এ পাঠ্য সংশ্লিষ্ট অ্যানিমেশন, ভিডিও ক্লিপস, প্রেজেন্টেশন স্লাইড ইত্যাদি দেয়া হয় যাতে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যতবার খুশি ক্লাস লেকচারটি পুনরায় দেখতে পারে। এভাবে ডিজিটাল ক্লাসগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবিষয়কে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলে, শিক্ষার্থীরা হয়ে ওঠে অধিকতর মনোযোগী।

এর পাশাপাশি নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা, পাক্ষিক,সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষা ইত্যাদি অবিরাম নিরীক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদক্ষতা মূল্যায়ন করা হয় এবং অভিভাবকবৃন্দের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় মাসিক মূল্যায়ন পত্র। প্রতিদিন সন্তানের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির খবরও এস, এম, এস এলার্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় তাকে। এ ছাড়া ক্লাস শেষে প্রতিদিন প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১ঘন্টা ৩০ মিনিটের EXTRA CARE CLASS। এখানে ৭জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গঠিত একটি গ্রুপের দায়িত্বে থাকেন একজন শিক্ষক, যিনি পাঠ্যবিষয়ে শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা আছে কিনা, তা নির্ণয় করেন এবং সেই বিষয়টি আবার বুঝিয়ে দেন। ফলে তাদের প্রাইভেট কোচিং এ পড়তে হয় না। এর ফলস্বরুপ প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষায় এ+সহপ্রায় শতভাগ উত্তীর্ণের কৃতিত্ব অর্জন করছে এই কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
সমৃদ্ধ ল্যাব : অত্যন্ত আধুনিক ও সমৃদ্ধ প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব এই কলেজের অনন্য বৈশিষ্ট্য। পদার্থ, রসায়ন, জীব, গণিত এবং আইসিটির পৃথক ৫টি ল্যাব রয়েছে এখানে। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে স্বতন্ত্র ইনস্ট্রুমেন্ট সেট। ইন্টারনেট সংযোগ সহ ২৫টি কম্পিউটার এবং ৬টি ল্যাপটপ দিয়ে সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব ডিজিটাল শিক্ষাঙ্গনের দাবী শতভাগ পূরণ করেছে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম : লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ইনডোর গেমস, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও শিক্ষা সফর শিক্ষার্থীদের মননকে বিকশিত করছে। জাতীয় দিবস সমূহ এখানে উদযাপিত হয় সাড়ম্বরে। সুপরিসর কলেজ ক্যাম্পাসে রয়েছে বাস্কেটবল, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন গ্রাউন্ড। রয়েছে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার সুযোগ। ইনডোর গেমসে রয়েছে পুল, কেরম, দাবা, টেবিল টেনিস ইত্যাদি। CSBH-এর রয়েছে নিজস্ব স্কাউট গ্রুপ। খেলাধূলার পাশাপাশি সামাজিক ও পরিবেশ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজেও অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। আর এর জন্য রয়েছে লিডারশীপ ও সমাজ কল্যাণ এওয়ার্ড।
ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব : ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে স্পোকেন ও রিটেন ইংলিশ ক্লাব যেখানে শিক্ষার্থীরা রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং এবং স্পোকেনে দক্ষতা উন্নয়নের সাথে সাথে প্রায় ৩৫০০ স্যাট ভোকাবিউলারী সম্পন্ন করে। এই জ্ঞান তাদেরকে এইচ.এস.সি পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নে বিশেষ সহায়তা করে।
কৃতী শিক্ষার্থী : এই কলেজের প্রাক্তনছাত্র অপি চৌধুরী (বর্তমানেকুমিল্লা সরকারী মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত) বলেন, CSBH চট্টগ্রামের বুকে একটি অন্যতম সেরা কলেজ। অতীত সুনামের কথা শুনে সরকারী কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও এই কলেজে ভর্তি হই।এই কলেজ আমার সকল চাহিদা পূরণ করেছে। সম্মানীয় শিক্ষকগণের নিবিড় পরিচর্যার কথা আজীবন কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করব। প্রাক্তন ছাত্রীরীমা আকতার চাঁদনী(বর্তমানেদিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস অধ্যয়নরত) জনান, ‘CSBH কলেজ এইচএসসি ১ম বর্ষথেকে আমাদের মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতির ভিত গড়ে দেয়। আমাদের শিক্ষকগণঅত্যন্ত আন্তরিক এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ভীষণ যত্নবান।নিয়মিত ক্লাস, রাজনীতি বা ইভটিজিংমুক্ত নিরাপদ পরিবেশ, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা এই কলেজটির অনন্য বৈশিষ্ট্য।’ CSBH এর এরুপ শতশত চৌকষ শিক্ষার্থী আজ দেশ ও বিদেশের মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেরিন একাডেমী, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে সদর্পে ঠাঁই করে নিয়েছে।

বিশেষ বৃত্তি : ভর্তিতে বিশেষ বৃত্তি ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রথম ২০ জনকে মাসিক টিউশন ফি এর ১০০%, ২য় ২০ জনকে ৫০%, জিপিএ -৪.৫বা এর অধিক প্রাপ্ত ১ম ১০ জনকে ২৫% এবং জিপিএ-৪ বা এর অধিক প্রাপ্ত প্রথম ১০ জনকে ১২.৫% বৃত্তি দেয়া হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে বিশেষ পরামর্শ : এ বিষয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মেহরাব মাসুক বলেন, আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য CSBH(code-3621) এর ক্যাম্পাসে রয়েছে বিনামূল্যে আবেদন ফরম পূরণের ব্যবস্থা! প্রথম ফলাফলে মনোনীত কলেজে ভর্তি হতে না চাইলে শিক্ষার্থী ঐ কলেজে নিশ্চায়ন করবেনা। ফলে ২য়বার আবেদনে সে যে কেলেজে ভর্তি হতে চায় সে কলেজটির নাম প্রথমে রাখলে ২য় ফলাফলে ঐ কলেজে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত হবে।
২য় আবেদনের ক্ষেত্রে কলেজের পড়ালেখার মান–পরিবেশ, বিগত বছরের ফলাফল, বাসা থেকে দূরত্ব এবং মাসিক বেতনসহ যাবতীয় খরচের বিষয়টি যাচাই–বাছাই করে কলেজের পছন্দক্রম ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেনকলেজের প্রতিষ্ঠাতা মেহরাব মাসুক। তিনি আরও বলেন,শুধু বিজ্ঞাপন নয় একজন অভিভাবক বা ছাত্রছাত্রীর প্রথম কাজ হলো ভর্তিযোগ্য কলেজটির অবকাঠামো, ক্লাসরুম, ব্যবহারিক পরীক্ষাগার, খেলাধূলার ব্যবস্থা, শিক্ষকের মান ও রাজনৈতিক কোন গোলযোগবা অনৈতিক পরিবেশ রয়েছে কিনা তা ক্যাম্পাসে গিয়ে সরেজমিনে যাচাই করা।
আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল নম্বরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আবেদন পরবর্তী ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এই মোবাইল নম্বরেই পাঠানো হবে। আর কন্টাক্ট নম্বর হিসেবে একই মোবাইল নম্বর কোনো ভাবেই একাধিক আবেদনে ব্যবহার করা যাবে না। আর একটি বিষয় এবারের ১ম আবেদনের প্রাপ্ত ফলাফল এসএমএস করার সময় শিক্ষাবোর্ড একটি সিকিউরিটি কোড পাঠিয়েছে।এটি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
২২, পাঁচলাইশ (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেইন গেইটের বিপরীতে) চট্টগ্রাম, এই ঠিকানায় এবং ০১৮৮১-৫৬৪৫০৫, ০১৯৭৬-৭৭৭৬৭৭ ফোন নম্বরে যোগাযোগ এবং www.csbh.edu.bd সাইটে লগ ইন করে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট