সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২য় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই কর্মসূচির ডাক দেয়।
বুধবার (২৬ জুন) কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দএই অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।
এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে চবি শিক্ষক সমিতির অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সার্বজনীন পেনশন স্কিমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃজন, জ্ঞান বিতরণ ও গবেষণার জায়গা। সেই জায়গায় শিক্ষকদের এরকম প্রজ্ঞাপন দিয়ে বৈষম্যের সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের দাবি পূরণ করে অনতিবিলম্বে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির আহবান জানাচ্ছি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যেই পেনশন স্কিম প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে এটি প্রত্যাহার করা হোক। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে যাবো।
প্রসঙ্গত, ২৫ থেকে ২৭ জুন ৩ দিন অর্ধ দিবস কর্মসূচি, ৩০ জুন পূর্ণ দিবস কর্মসূচি এবং পহেলা জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ