সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেয় নগরী। প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। এতে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষ ও স্কুল ফেরত শিক্ষার্থীদের।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১ থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত নগরীতে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ২৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি থামার পরও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এতে দু’ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে ভ্যাপসা গরম কমেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল বারেক বলেন, দুপুরের এ অল্প সময়ের বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমেছে। এতে ভ্যাপসা গরমও কিছুটা কমেছে। তবে ফের তাপমাত্রা বাড়বে এবং ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে।
এদিকে, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, লালখান বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষ এবং মোটসাইকেল আরোহীরা বৃষ্টির কারণে দূর্ভোগে পড়তে দেখা যায়। দুই ফ্লাইওভারে উপরে আটকা পড়ে পথচারীরা। এতে বৃষ্টিতে ভিজে যায় অনেকে। কেউ কেউ ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ি নিয়ে আশ্রয় নিতেও দেখা যায়। দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্কুল ছুটি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়। তবে অল্প সময়ের বৃষ্টির কারণে নগরীর কোথাও কোনো জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি বন্ধের সাথে সাথে পানিও নেমে যায়। বরং গরম কমার পাশাপাশি রাস্তার ধুলাবালি কমেছে।
পথচারী নাজমুল ইসরাফিল বলেন, কাজে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে একেবারে ভিজে যাই। অসময়ের বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যদিও এখন বৃষ্টির দরকার ছিল। রাস্তায় প্রচন্ড ধুলাবালি উড়ছে। বাইরে বের হলেই বিরক্ত লাগে। আবার ঘরে বাইরে অস্বস্থিকর গরম আর সহ্য হচ্ছে না। বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও গরম কমবে পাশাপাশি ধুলাবালি দূর হবে।
পূর্বকোণ/এসএ