চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

জমতে শুরু করেছে পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুন, ২০২৪ | ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

বেচাকেনা শুরুর পর বন্দরনগরীর পশুর হাটে খুব বেশি ভিড় দেখা না গেলেও ক্রমেই জমে উঠছে। দিনভর ক্রেতা-বিক্রেতা সমাগম কম থাকলেও সন্ধ্যার পর বাড়ে ভিড়। আশেপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক আসছে পশু বোঝাই ট্রাক। তবে এখনও হাট ঘুরে পশু দেখা ও দাম যাচাইয়েই ব্যস্ত ক্রেতারা। পশু বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক কম। হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধীরে ধীরে জমে উঠছে হাট, বিক্রিও মোটামুটি বাড়ছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও জমে উঠবে।

 

 

গতকাল (বুধবার) নগরীর সাগরিকা গরুর হাটে ঘুরতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, এবার হাটের পরিবেশ তুলনামূলক সুন্দর। গত বছরের চেয়ে এবার বড় গরুর সংখ্যা বেশি, দামও তুলনামূলক বাড়তি। এখনও দাম দেখছি, আরও কয়েকদিন পর কিনবো।

 

 

এই হাটের কুষ্টিয়া মাঠে অপেক্ষমান গরু বিক্রেতা মনজুর হোসেন বলেন, আমরা এই হাটে ৩০ টি গরু এনেছি। তিনদিনে মাত্র দুটি গরু বিক্রি হয়েছে। এখনও মানুষ গরু কিনছে না, সবাই দাম দেখেই চলে যায়। আশা করি কোরবানির কয়েকদিন আগে বিক্রি বাড়বে।

 

 

পশুর হাটে দিনভর ভিড় কম থাকলেও সন্ধ্যার পর জমে উঠে বলে জানিয়েছেন হাটের ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা। নগরীর নূর নগর হাউজিং সোসাইটি পশুর হাট পরিচালনা কমিটির পরিচালক মো. রফিক বলেন, বিক্রি একেবারে নেই বলা যাবে না, মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। এবার মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। এক থেকে দেড় লাখ টাকার গরু তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে। দিনভর লোকজন কম থাকলেও সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ে।

 

 

প্রসঙ্গত এবার নগরে ৭ টি অস্থায়ী ও তিনটি স্থায়ী হাটে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এর বাইরে জেলার ১৫ উপজেলায় বসবে আরও দুই শতাধিক হাট।

 

নগরে স্থায়ী তিন পশুর হাট হলো সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট বাজার এবং পোস্তার পাড় ছাগলের হাট। এর বাইরে তিন নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের নূর নগর হাউজিং এস্টেট, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল এলাকার মহেশখালের দুই পাড়ের খালি জায়গা, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিডিএ বালুর মাঠ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের টিএসপি মাঠ, একই ওয়ার্ডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের পাশে টি কে গ্রুপের খালি মাঠে বসেছে অস্থায়ী হাট।

 

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবার সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫ টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে জেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫১ টি পশু। সেই হিসেবে ৩৩ হাজার ৪০৬ টি পশুর ঘাটতি রয়েছে এবার। তবে বন্দরনগরীর হাটে আশেপাশের জেলা ও উত্তরবঙ্গ থেকে খামারিরা চট্টগ্রামে পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসায় সেই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট