চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক

১০ জুন, ২০২৪ | ৯:৫১ অপরাহ্ণ

রোগের গুরুত্ব অনুযায়ী অনেক সময় আমাদের একসঙ্গে অনেক ওষুধ খেতে হয়। এতে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অনেক কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে এটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু উপায়।

 

হাইড্রেশন: পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ নিশ্চিত করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান মলকে নরম করতে পারে এবং মলত্যাগের গতি বাড়াতে পারে।

 

ডায়েটারি ফাইবার: ফলমূল, শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লেবু খাওয়ার মাধ্যমে ডায়েটারি ফাইবার বাড়ান। মলকে আরো সহজে পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যেতে সাহায্য করে ফাইবার।

 

শারীরিক কার্যকলাপ: নিয়মিত ব্যায়াম অন্ত্রের কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করে। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মাঝারি ব্যায়াম করুন।

 

সময় এবং রুটিন: মলত্যাগের জন্য একটি নিয়মিত রুটিন তৈরি করুন। আপনার শরীরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন একই সময়ে মলত্যাগ করার চেষ্টা করুন, বিশেষত খাবারের পরে।

 

লাক্সেটিভ এবং স্টুল সফটনার: বিকল্প হিসেবে স্টুল সফটনার এবং জোলাপ সাময়িকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এসবের নির্ভরতা এবং অন্যান্য সম্ভাব্য সমস্যাগুলো এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হওয়া উচিত।

 

প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিকগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন, যা দইতে পাওয়া যেতে পারে বা সম্পূরক হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এসব সম্ভাব্য কোষ্ঠকাঠিন্য সহজ করে।

 

মনিটর এবং ট্র্যাক: অন্ত্রের গতিবিধি, খাদ্যাভ্যাস, তরল গ্রহণ এবং শারীরিক কার্যকলাপের একটি ডায়েরি রাখুন। এটি প্যাটার্ন এবং ট্রিগার শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

 

কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন: কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হিসেবে পরিচিত খাবার গ্রহণ সীমিত করুন, যেমন : দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ: এই ব্যবস্থাগুলো সত্ত্বেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য অব্যাহত থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য বিশেষ চিকিৎসা বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মুহিত মুকতাদির, অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর, এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডিপার্টমেন্ট, দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, রংপুর।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট