রোগের গুরুত্ব অনুযায়ী অনেক সময় আমাদের একসঙ্গে অনেক ওষুধ খেতে হয়। এতে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অনেক কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে এটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু উপায়।
হাইড্রেশন: পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ নিশ্চিত করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান মলকে নরম করতে পারে এবং মলত্যাগের গতি বাড়াতে পারে।
ডায়েটারি ফাইবার: ফলমূল, শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লেবু খাওয়ার মাধ্যমে ডায়েটারি ফাইবার বাড়ান। মলকে আরো সহজে পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যেতে সাহায্য করে ফাইবার।
শারীরিক কার্যকলাপ: নিয়মিত ব্যায়াম অন্ত্রের কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করে। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মাঝারি ব্যায়াম করুন।
সময় এবং রুটিন: মলত্যাগের জন্য একটি নিয়মিত রুটিন তৈরি করুন। আপনার শরীরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন একই সময়ে মলত্যাগ করার চেষ্টা করুন, বিশেষত খাবারের পরে।
লাক্সেটিভ এবং স্টুল সফটনার: বিকল্প হিসেবে স্টুল সফটনার এবং জোলাপ সাময়িকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এসবের নির্ভরতা এবং অন্যান্য সম্ভাব্য সমস্যাগুলো এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হওয়া উচিত।
প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিকগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন, যা দইতে পাওয়া যেতে পারে বা সম্পূরক হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এসব সম্ভাব্য কোষ্ঠকাঠিন্য সহজ করে।
মনিটর এবং ট্র্যাক: অন্ত্রের গতিবিধি, খাদ্যাভ্যাস, তরল গ্রহণ এবং শারীরিক কার্যকলাপের একটি ডায়েরি রাখুন। এটি প্যাটার্ন এবং ট্রিগার শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন: কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হিসেবে পরিচিত খাবার গ্রহণ সীমিত করুন, যেমন : দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার।
চিকিৎসকের পরামর্শ: এই ব্যবস্থাগুলো সত্ত্বেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য অব্যাহত থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য বিশেষ চিকিৎসা বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মুহিত মুকতাদির, অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর, এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডিপার্টমেন্ট, দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, রংপুর।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ