ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দলের ৭৮ মুসলিম প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জন জয় পেয়েছেন।
জয়ী ১৫ প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম ভারতের সাবেক ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠান। তিনি অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বহরমপুর আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন।
এই আসনটি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রার্থী ছয়বারের এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে নবাগত ইউসুফ পাঠান অভিজ্ঞ রাজনীতিক অধীর রঞ্জনকে ৮৫০২২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর আসনে কংগ্রেসের ইমরান মাসুদ জয়ী হয়েছেন। তিনি নিকটতম বিজেপি প্রার্থী রাঘব লখনপাল থেকে ৬৪৫৪২ ভোট বেশি পেয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের কাইরানা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির ২৯ বছর বয়সী নারী প্রার্থী ইকরা চৌধুরী। তিনি বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ কুমারকে ৬৯১১৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
উত্তর প্রদেশের গাজীপুর আসন থেকে জয়ী সমাজবাদী পার্টির আরেক প্রার্থী আফজাল আনসারি। প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার ভোট পাওয়া আনসারি এর আগেও এই আসন থেকে লোকসভার সদস্য ছিলেন।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তিন লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে তার হায়দরাবাদের আসন ধরে রেখেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির মাধবী লতা কমপেল্লা।
কেন্দ্রশাসিত লাদাখে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফা জান। তিনি ইন্ডিয়া জোটের সেরিং নামগিয়ালকে পরাজিত করেছেন।
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লাহ আসনে জয়ী হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল রশীদ শেখ। কারাগারে বন্দী অবস্থায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি হারিয়েছেন কাশ্মীরের হেভিওয়েট প্রার্থী ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে।
জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনে জয়ী হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী মিয়া আলতাফ আহমেদ। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে পরাজিত করেছেন। শ্রীনগরের আসন থেকে পাস করেছেন একই দলের প্রার্থী আগা সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহেদি।
এছাড়া উত্তর প্রদেশের রামপুর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী মহিবুল্লাহ। উত্তর প্রদেশের সম্বল থেকে জয়ী পেয়েছেন সমাজবাদী পার্টির আরেক প্রার্থী জিয়াউর রহমান।
পূর্বকোণ/মাহমুদ