চাইনিজ তাইপে বাংলাদেশের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে। স্বাগতিক হলেও সাবিনা খাতুনদের তাইপের বিপক্ষে হারটা অনুমেয়ই ছিল। ৯০ মিনিট শেষে স্কোরলাইন ৪-০ ভদ্রস্থ থাকলেও, বাংলাদেশের রক্ষণভাগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বড় আকারেই।
আজ (শুক্রবার) ম্যাচের ২৫ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারায় বাংলাদেশ। ওই সময়েই ৩ গোল হজম করে। তিন গোলের পেছনেই ডিফেন্ডারদের দায় ছিল অনেক। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের তারা মার্ক করতে পারেননি ঠিকমতো। সাবিনারা নতুন কোচ পিটার বাটলারের অধীনে হাই-আপ ডিফেন্ডিং খেলছে। তাই রক্ষণভাগ অফসাইড ট্র্যাপ বানাতে গিয়ে উল্টো নিজেরাই খাবি খেয়েছে কয়েকবার।
ম্যাচের ১১ মিনিটে অফসাইড ফাঁদ ভেদ করে থিং চিয়ার পাসে ডিফেন্ডার আফিদার পায়ের মাঝ দিয়ে বল পেয়ে যান সু ইউ। বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পেয়ে গোলকিপারের পাশ দিয়ে নিঁখুত নিশানাভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। সাত মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হয় সফরকারীদের। ই ইয়ুনের কর্নার থেকে আনমার্কড সুসিন ইয়ুন জায়গায় দাঁড়িয়েই জোরালো হেডে বল জালে জড়ান।
২৬তম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে বক্সে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে আবারও গোল করেন ইয়ুন। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। অধিনায়ক সাবিনার বদলে নামেন সানজিদা। ওই সময়ে স্বাগতিকদের একাদশে আরও কয়েকটি পরিবর্তন করেন কোচ পিটার। দ্বিতীয়ার্ধে বল পজেশন ও আক্রমণ করেছিল বাংলাদেশ। মনিকার শট পোস্টে লেগে বাইরে যায়।
ম্যাচের শেষদিকে সানজিদার দূরপাল্লার শট পোস্টের একটু ওপর দিয়ে যায়। এই অর্ধে বাংলাদেশ নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে নেয়। প্রথমার্ধে তিন গোল হওয়ায় তাইপে দ্বিতীয়ার্ধে খুব একটা চাপ দেয়নি বাংলাদেশকে। এরপরও ডিফেন্ডারদের ভুলে আরেকটি গোল হজম করে সাবিনারা। ইয়ুন বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।
বাংলাদেশ স্বাগতিক হলেও কিংস অ্যারেনায় আজই প্রথম খেলেছে। সাবিনারা সাধারণত বাফুফে ভবন সংলগ্ন আর্টিফিশিয়াল টার্ফে অথবা কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলেন বেশি। দেশের মাটিতে তারা অনেকদিন পর ঘাসের মাঠে খেলার সুযোগ পেল। কিংস অ্যারেনায় নতুন পরিবেশে শুরুর দিকে মানিয়ে নিতেও কষ্ট হয়েছে সাবিনাদের। দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ৩ জুন।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ