কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় ঝরনা দেখতে গিয়ে অপহৃত রিদুয়ানকে একদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় বাহারছড়া গহীন পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া বাঘঘোনা বাজারের পূর্বে ঝরনা দেখতে গিয়ে সহোদর দুই ভাই অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক দস্তগীর হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শুক্রবার অপহরণকারীদের কবল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফয়জুল কবির রিয়াদ কোন রকমে পালিয়ে আসেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। অপহৃত রিদুয়ান ও আহত ফয়জুল কবির রিয়াদ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পূর্ব রূপকানিয়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে এবং টেকনাফ আবু হানিফ মার্কেট ‘ইত্যাদি ইলেকট্রিক ও লাইব্রেরি’ দোকানের মালিক।
আহত অবস্থায় অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসা ফয়জুল কবির রিয়াদ বলেন, আমাদের দোকানের কর্মচারী রিজুয়ান ঝরনা দেখতে যাওয়ার কথা বলে আমরা দুই ভাইকে তাদের এলাকায় নিয়ে যায়। পরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পাহাড়ের ঝরনার পাশে এসে আমাদের অপহরণ করে। এ সময় সুযোগ পেয়ে আহত অবস্থায় আমি পালিয়ে চলে আসি। আমার ছোট ভাই রিদুয়ান অপহরণকারীদের হাতে জিম্মি হয়। শনিবার সন্ধ্যায় গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আমার ছোট ভাইকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে দোকানের কর্মচারী রিজুয়ান জড়িত বলে আমার ধারণা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস বলেন, স্থানীয় এক যুবকের যোগসাজশে নোয়াখালীয়াপাড়া ঝরনা দেখতে যাওয়ার কথা বলে তাদেরকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। শুনেছি একজন রক্তাক্ত অবস্থায় অপহরণের কবল থেকে ফিরে এসেছে। অপরজনকে গহীন পাহাড় থেকে শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে পুলিশ।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক দস্তগীর হোসেন চৌধুরী বলেন, দোকানের কর্মচারী বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়ায় ঝরনা দেখার কথা বলে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে ডাকাতের হাতে তুলে দেয় দুই ভাইকে। ঘটনার দিন একজন রক্তাক্ত অবস্থায় অপহরণের কবল থেকে ফিরে এসেছে। খবর পেয়ে অপহৃত রিদুয়ানকে গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ