মাইগ্রেনের ব্যথা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১০-১১ সেশনের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মান্না দে। তিনি গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (২২ মে) গোপালগঞ্জ সদর থানার চন্দ্র দিঘলিয়ার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন মান্না দে। সেখানে তিনি লিখেন, ‘প্রতিনিয়ত মস্তিষ্কের নিউরনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। মাইগ্রেন এক অভিশাপের নাম। মাইগ্রেনের কাছে হেরে গেলাম। জীবনযুদ্ধে আমি পরাজিত।’
মান্না দে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পড়ালেখা শেষ করে তিনি গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে যোগ দেন।
তার সহকর্মী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘মান্না দে মেধাবী ছাত্রনেতা ছিলেন। সরকারি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগ দেন। আজ জানতে পেরেছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুরর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুরে সংবাদ পেয়ে গোপালগঞ্জ থানার চন্দ্র দিঘলিয়ায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।’
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ