ওপেনিং জুটিতে ১০১ রান তুলে নেওয়ার পর স্বভাবতই ২০০ রানের প্রত্যাশা করেছিলেন টাইগার সমর্থকরা। তবে রীতিমত হতাশায় ডুবিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। এরপর ৪২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এতে ফিকে হয়ে যায় বড় পুঁজির স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৪৪ রানের মামুলি লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে শান্তর দল।
মিরপুরের মহাবিপর্যয় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েই যেন প্রশ্ন তুলেছে আরও একবার। তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর থেকেই একের পর এক দায়িত্বহীন ব্যাটিং ইনিংস দেখেছে স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া হাজারো দর্শক। জিম্বাবুয়ের সামনে চতুর্থ ওয়ানডেতে টার্গেট মোটে ১৪৪ রান। ১০ ওভারে ৯০ করার পর টাইগারদের ইনিংস থেমেছে ১৯.৫ ওভারে।
তানজিদ তামিমকে দিয়েই বিপর্যয়ের শুরু। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।
চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।
একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ