
ছোট ছোট কর্মসূচির মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে চায় বিএনপি। একইসাথে রাজনীতির মাঠে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে চায় দলটি। পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ, ইফতার মাহফিল ও কারাবরণকৃত দলের নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা এবং সর্বশেষ দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনঢ় থাকা বিএনপি চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এ নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলন করতে গিয়ে দলের প্রচুর নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও মামলার শিকার হন। এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে দলটি। একইসাথে হতাশায় ভুগতে থাকেন ২০০৬ সাল থেকে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাছাড়া একের পর এক মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত। এমনকি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে নীরবে মানবেতর জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় হতাশাগ্রস্ত দলের নেতাকর্মীদের মানসিকভাবে চাঙ্গা এবং রাজনীতির মাঠে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে আসতে বিএনপি রমজান মাসে জনমুখী কর্মসূচিগুলো পালন করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘গত ১৮ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যস্ত রয়েছে। এ সময়ে মধ্যে সারাদেশে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী খুন-গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মামলার শিকার হয়েছেন দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী, কারাগারে গেছেন বহু। সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে দলের অসংখ্য নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। কারাগারে গেছেন বহু নেতাকর্মী। এ অবস্থায় দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বিএনপি এসব কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুবের রহমান শামীম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন নিয়ে মাঠে আছে এবং কাক্ষ্ঙিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে। এ নিয়ে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন অব্যাহত থাকবে।’
পূর্বকোণ/এসি