বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের পরপরই থানচি উপজেলা বাজারে কেএনএফ আক্রমণ চালিয়েছে। সেখানে পুলিশ-বিজিবির সাথে কেএনএফ’র মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত 8টার দিকে কেএনএফ এর ৭০/৮০ সশস্ত্র সদস্য থানচি বাজার ঘেরাও করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পরে পুলিশ পাল্টা জবাব দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলে সেখানে বিজিবিও অংশ নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফানচি বাজারে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন কারা কি কারণে হামলা চালিয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ এবং বিজিবির পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে বুধবার থানচি বাজারে কেএনএফ হামলা চালিয়ে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মাত্র একদিনের ব্যবধানে দুটো হামলার ঘটনায় থানচিতে জনমনে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থানচি বাজারের এর দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে গেছে। বাজার এবং আশেপাশে পাড়ার লোকজন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
অন্যদিকে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুমা উপজেলা বাজারের কাছে ব্যাথেলপাড়া থেকে উদ্ধার হয় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন। র্যাব-সেনাবাহিনী-গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে ম্যানেজারকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তাকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রুমা থেকে বান্দরবান জেলা শহরের র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে দুপুরে রুমা উপজেলার মুন্নামপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সাথে কুকিচিনের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার দিকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার সন্ত্রাসীরা থানচি উপজেলা সোনালীও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে ১৮ লাখ টাকা লুট করে নেয়। এ ঘটনার পর নিরাপত্তার আশঙ্কায় বান্দরবানের রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/মিনার/এএইচ