যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর, চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ মিযানুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জনতা ব্যাংক, বিমান, শেখ খালিফা বিন যায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাদেশ সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দূতাবাসের আইন কর্মকর্তা রেজাউল আলমের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভায় দূতাবাস কর্মকর্তাগণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।
দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ মিযানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং লেবার কাউন্সিলর (লোকাল) লৎফুন নাহার নাজিমের পরিচালনায় আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ সমিতি ইউ এ ইর সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, যায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুল হক খন্দকার, নাছির উদ্দিন তালুকদার, শওকত আকবর, ইজাজ কলিম, আশীষ বডুয়া, কামরুজ্জমান, মঈন উদ্দিন, জাকের হোসেন জসিম, মাহাবুব খন্দকার, আক্তার হোসেন রাজু প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বাধীনতার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও অর্জনসমূহ তুলে ধরেন এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনারবাংলা’ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘ভিশন-২০৪১ এর আলোকে সকলকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকার অনুরোধ করেন। এসময় তিনি প্রবাসীদের দেশের প্রতিনিধি আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতের “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা রাখার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতির উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ এ শাহাদত বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যগণ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই আয়োজিত অনুরূপ অনুষ্ঠানমালা দুবাইস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ