গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শ্রেষ্ঠতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হতে পারত। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ, উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের অভাব এবং অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের ফলে কক্সবাজার তার কাঙ্ক্ষিত জৌলুস হারিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) মালটিপারপাস হলে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর ও সংস্থার সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিকল্পিত উন্নয়ন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কক্সবাজারকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকর্ষণীয়, পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সেজন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক), স্থানীয় পৌরসভা, জেলা প্রশাসনসহ জেলায় কর্মরত সকল দপ্তর ও সংস্থার কাজে সমন্বয় প্রয়োজন। উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, পরিকল্পনাবিদ, সমাজবিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের পরামর্শ গ্রহণের জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তিনি কউকের মাধ্যমে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্পের তালিকা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও পর্যটকবান্ধব কক্সবাজার গড়ে তুলতে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরে জনবল সংকটের কারণে নগরে তেমন উন্নয়ন হচ্ছে না। শিগগিরই এই সংকট কাটিয়ে উঠবে আশাবাদী তিনি।
মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এমপি। কউক চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নূরুল আবছারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত কক্সবাজার জোন এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, কক্সবাজারের কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তর ও সংস্থার চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ও বিদ্যমান দাপ্তরিক সমস্যাদি সভাকে অবহিত করেন। পরে মন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার সকল দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/এএইচ