ফের রানের খাতা না খুলে আউট লিটন দাস। টানা দুই ওয়ানডেতে দিলশান মাদুশাঙ্কার শিকার হলেন বাংলাদেশি ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় বলে মাঠ ছাড়েন লিটন। পরের ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত পাথুম নিসাঙ্কার হাত ফসকে জীবন পান, বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২২ রান বাংলাদেশের।
পাথুম নিসাঙ্কার হাত ফসকে নাজমুল হোসেন শান্ত জীবন তো পেলেনই, হয়ে গেলো চারও। দুই বল বিরতি দিয়ে আরেকটি বাউন্ডারি মারেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রমোদ মাদুশানের ওই ওভারে ১২ রান তোলে স্বাগতিকরা। অবশ্য নিজের খেলা সপ্তম বলে আউট হতে পারতেন শান্ত। আল্ট্রা এজে স্পাইক ধরা পড়েছিল। শ্রীলঙ্কা আপিল না করায় বেঁচে যান বাংলাদেশি ব্যাটার।
দুই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শান্ত বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং করছেন। সৌম্য সরকারকে নিয়ে তিনি ৪১ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন। ৭.২ ওভারে ১ উইকেটে ৫০ রান বাংলাদেশের। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪০ রান করে থামলেন শান্ত।১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দিলশান মাদুশাঙ্কার শিকার হন শান্ত, ক্যাচ দেন কুশল মেন্ডিসকে। শূন্যতে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর সৌম্য সরকারের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েন তিনি। ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে বিদায় নিলেন অধিনায়ক। ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ৭৮ রান বাংলাদেশের।
২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে থেমে গেলেন সৌম্য সরকার। নান্দনিক সব শটে হাফ সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ব্যাটার ৬৬ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে ৬৮ রান করেছেন। দিলশান মাদুশাঙ্কা দারুণ ক্যাচ নিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে তার ৫৫ রানের জুটি ভেঙে দেন।
একই ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরে যান স্টাম্পিং হয়ে। মাত্র ২ বল খেলে ডাক মারেন তিনি। লঙ্কান স্পিনারের চতুর্থ বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট মিস করে বল কুশল মেন্ডিস হাতে, ক্রিজে ফেরার আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন।২৬ ওভার শেষে চার উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪৪ রান। তিন বলের মধ্যে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয় দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়েছেন।
২৮তম ওভারে দুজন ক্রিজে থেকে দলীয় স্কোর দেড়শ পার করেন। তবে জুটিটা ৪৩ রানের বেশি হয়নি। ৩২তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই তাদের বিচ্ছিন্ন করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন লঙ্কান স্পিনার। আম্পায়ার নাকচ করলে ডিআরএস নেয় সফরকারীরা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ২৮ বলে ৩ চারে ২৫ রানে আউট হন মুশফিক। ৩১.১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান বাংলাদেশের।
তবে তাওহীদ হৃদয় খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। মন্থর ইনিংস খেলে ফিফটি করলেও শেষ দিকে ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন। শেষ তিন ওভারে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে তিনি ৪৪ রান তোলেন। শেষ দুটি বলে ছক্কা হাঁকান হৃদয়। বল শেষ হয়ে যাওয়ায় আর সেঞ্চুরি হয়নি, মাত্র ৪ রান দরকার ছিল। ১০২ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়, অবশ্য এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। অন্য প্রান্তে ১৮ রানে খেলছিলেন তাসকিন।
এই তিন ব্যাটারে ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান করেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
পূর্বকোণ/আরআর