অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের মেঝেতে পড়ে থাকা হাফ হাতা গেঞ্জি আর নীল পায়জামা পরা সেই ঘুমন্ত শিশুটির। চার বছর বয়সী এই শিশুর নাম ফাইরুজ কাশেম জামিরা। তার মায়ের নাম মেহেরুন নিসা জাহান হেলালি (২৪) এবং বাবা শাহজালাল উদ্দিন (৩৪)। তাদের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মরিচ্যা এলাকায়। তিনজনই বেইলি রোডের আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে মা-বাবার সঙ্গে গিয়েছিল ছোট্ট শিশুটি। আগুনে মা-বাবাসহ প্রাণ হারায় সেও। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গের মেঝেতে রাখা হয়। সেখানে তার বুকের কাছে ‘অজ্ঞাতনামা’ সাঁটনো অবস্থায় পড়ে থাকার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে শিশুটির নানা তাকে শনাক্ত করেন।
নানা মুক্তার আলম হেলালি বলেন, জামাতা শাহজালাল উদ্দিন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন। কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কার্যালয়ে শুল্ক বিভাগে তিনি কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাস করতেন বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায়। তিন দিনের ছুটিতে ওদের খাগড়াছড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। মুঠোফোনে দীর্ঘ সময় ওদের খুঁজে না পেয়ে পরে হাসপাতালে যান তিনি। শনিবার (২ মার্চ) সকালে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
পূর্বকোণ/এএইচ