বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন-২০০৩ ধারার ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সঞ্চালন নিশ্চিত করতে সরকার হুইলিং চার্জ, বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যহার ও খুচরা মূল্যহার এবং বিদ্যুৎ সম্পর্কিত বিবিধ সেবার জন্য চার্জ ও ফি পুনর্নির্ধারণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগ এই ব্যাখ্যা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য প্রতি ইউনিটে ৩৪ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৭০ টাকা থেকে ৭ দশমিক ০৪ টাকা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গড়ে দাম বেড়েছে পাঁচ ভাগ।
অন্যদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট গড়ে ৭০ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট ৮ দশমিক ২৫ টাকার বিপরীতে ৮ দশমিক ৯৫ টাকা হয়েছে। এখানে গড় সমন্বয় সাড়ে আট ভাগ।
লাইফলাইন গ্রাহকের ৪ দশমিক ৩৫ টাকা থেকে ৪ দশমিক ৬৩ টাকা করা হয়েছে, সমন্বয় ২৮ পয়সা বেড়েছে। দেশে ১কোটি ৬৫ লাখ লাইফলাইন গ্রাহক রয়েছে; যাদের সরকার ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
এর আগে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিল মাস ফেব্রুয়ারি থেকে পাইকারি বিদ্যুতের দাম কার্যকর করা হবে।
পরে রাত ১০টায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এই দাম বিল মাস ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ফলে মার্চ মাসেই গ্রাহকদের বাড়তি বিল গুনতে হবে।
ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ৮.৫০ ও পাইকারিতে ৫ ভাগ বাড়লো বিদ্যুতের দাম। সেই হিসাবে পাইকারি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৪ পয়সা এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৭০ পয়সা বাড়লো।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ