কক্সবাজারের উখিয়ায় আলোচিত সৈয়দ করিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত চাচাতো ভাই সালামত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তাক্ত ছুরি ও নিহতের পরিহিত জামাও উদ্ধার করে র্যাব।
হত্যাকাণ্ডের ১০ ঘণ্টার মধ্যে রামু খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী। তিনি জানান, উখিয়ার জালিয়াপালং নিদানিয়া তেতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সালামত উল্লাহ ও সৈয়দ করিম সম্পর্কে একে অপরের আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাই। পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়ার উত্তর নিদানিয়া গ্রামের স্থানীয় স্টেশন থেকে সৈয়দ করিম বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির নিকটে সুপারি বাগানে পৌঁছালে সালামত উল্লাহ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার উপর আকস্মিক হামলা করে। একপর্যায়ে হত্যায় অভিযুক্ত সালামত উল্লাহ সৈয়দ করিমের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সৈয়দ করিম মারা যান। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডেরর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, অভিযুক্ত সালামত উল্লাহ পালানোর জন্য মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে কক্সবাজার শহরের দিকে যাচ্ছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডে একটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে পালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যাবহৃত রক্তাক্ত ছুরি ও নিহতের পরিহিত জামা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সালামত উল্লাহ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে বলেন, নিহত সৈয়দ করিমের সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহ এবং পারিবারিকভাবে পূর্ব শক্রতা চলে আসছিল। এরই জেরে সালামত দীর্ঘদিন যাবত সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ঘটনার দিন সৈয়দ করিম বাড়ি ফেরার পথে নিহতের বাড়ির সুপারি বাগানে পৌঁছালে তার উপর হামলা করে। একপর্যায়ে সুপারি বাগানে একটি ছোট গর্তে ফেলে সে সৈয়দ করিমের বুকে ছুরিকাঘাত করে এবং ছুরিটি ফেলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে।
পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ