দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। যেখানে বিনোদন অঙ্গন থেকে ১০ জন পাচ্ছেন এই সম্মাননা। তাদের মধ্যে রয়েছেন শুভ্রদেবও। সংগীতের আবদান রাখার জন্য তাকে এ পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।
তবে শুভ্রদেবকে এই সম্মান দেওয়ায় সমালোচনা করছেন অনেকেই। তুলছেন প্রশ্ন। বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতজ্ঞ প্রিন্স মাহমুদ তো সরাসরি শুভ্রদেবকে একুশে পদক ফিরিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তবে শুভ্রদেব মনে করেন, এই পুরস্কার তার অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল। কেনো তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে এক সাক্ষাৎকারে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই শিল্পী।
শুভ্রদেব বলেন, ‘সংগীত হল গুরুমুখী বিদ্যা। এটা নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই। কিন্তু আমি ইন্ডাস্ট্রিতে যা দিয়েছি এমনটা খুব কম শিল্পীর কন্ট্রিবিউশন আছে। শুধু গান গাইলেই হয় না। আমি যদি বলি, বাংলাদেশের কোন সংগীতশিল্পী আন্তর্জাতিকভাবে ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন শিল্পী থিম সং করেছে তাহলে আপনি কিন্তু কারো নাম বলতে পারবেন না। দেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে বলিউডের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে আমন্ত্রণ পেয়েছি। এগুলো হয়েছে ১০-১৫ বছর আগে। এছাড়া মাত্র ১২ বছর বছর বয়সে আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। মাদার তেরেসাসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছি। এজন্য যারা আমার কাজ সম্পর্কে জানে, তারা বেশিরভাগই বলেছেন, এই পদক অনেক আগে পাওয়া উচিত ছিল।’
শুভ্রদেব বলেন, আমার ক্যারিয়ার ৩৯ বছরের। ২৫ বছর ধরে বাংলা গান বিশ্বের দরবারে পৌঁছানোর জন্য আমার যে চেষ্টা সেটা আমি পুরস্কারের জন্য করিনি। আমার প্রয়াস ছিল বাংলা গান যেন বিশ্বের দরবারে পৌঁছায়। কতটা পেরেছি সেটা বলতে পারছি না।
একুশে পদক ঘোষণার পর শুভ্রদেবকে পদক ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ যে অনুরোধ রাখছেন সে বিষয়ে শুভ্রদেব বলেন, ‘প্রিন্স মাহমুদ কাজের ক্ষেত্রে আমার অনেক ছোট। একটা সময় গান নেওয়ার জন্য সে আমার পল্লবীর বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকত। সেগুলো বলতে চাই না। সে তো আমাদের লেভেলের কেউ না। আমি তাদেরই গণ্য করবো যাদের বিশ্বসংগীতে অনেক বেশি কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। যারা সমালোচনা করছে তারা জেলাসের জায়গা থেকে সমালোচনা করছে। এগুলো বিষয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না।’
পূর্বকোণ/পিআর