চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

হাজার টাকা বেড়ে পাঁচশ টাকা কমল এলাচের দাম

আরাফাত বিন হাসান

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

চলতি মৌসুমে শীতের শুরুতে হঠাৎ ৫০ শতাংশের মত বেড়ে যায় মসলাপণ্য এলাচের দাম। সেসময় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে চাহিদা বৃদ্ধি, কম সরবরাহ, আমদানি সংকটসহ নানা অজুহাতে গুরুত্বপূর্ণ এই মসলার দাম বেড়ে যায় হাজার থেকে ১১শ টাকা পর্যন্ত। পুরো জানুয়ারিতে বাড়তি দামেই বিক্রি হয় এলাচ। তবে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে দাম কমতে থাকে পণ্যটির। সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে নানা কারণে ৫৪০-৬৪০ টাকা কমে যায় এই মসলাপণ্যের দাম।

গতকাল দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এলাচ বিক্রি হয়েছে ২৬৬০ টাকা কেজি দরে। এরচেয়ে অন্তত পাঁচশ টাকা কমে ২১শ ৫০ থেকে ২২শ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে পুরনো এলাচ।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে দাম বেড়ে যাওয়ার পর কমে যায় বেচাকেনা। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য ওঠানামা করলে দেশেও এর প্রভাব পড়ে। আবার চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হলে স্বাভাবিকভাবেই কমে যায় দাম। এছাড়াও রমজান ঘিরে নতুন করে মসলা আমদানির জন্য এলসি খোলার চেষ্টা করছেন আমদানিকারকরা। তাই পুরনো মালামাল বিক্রির একটা চাপও আছে ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে। শুধু এলাচ নয়, সব ধরনের মসলাজাত পণ্যের দামই নি¤œমুখী খাতুনগঞ্জে। তিন মাসের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেক কমে গেছে জিরার দাম। আগে ১২শ থেকে ১৩শ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে পাইকারিতে জিরা বিক্রি হচ্ছে ছয়শ ৫০ টাকা কেজি দরে। দাম কমেছে লবঙ্গেরও, গেল এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা কমেছে লবঙ্গের দাম। আগে কেজিপ্রতি ১৫শ ৮০ থেকে ১৬শ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে এই মসলাপণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১৫শ ৫০ টাকা কেজি দরে।

 

কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে আদার দামও, নগরে আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমেছে গোল মরিচের দাম। বর্তমানে কালো গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৮০ টাকা দরে। তবে অপরিবর্তিত আছে দারুচিনি, আলুবোখরা এবং কিসমিসের দাম। গতকাল খাতুনগঞ্জে দারুচিনি আলুবোখরা এবং কিসমিস ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

 

এলাচসহ অধিকাংশ মসলাপণ্যের দাম কমা নিয়ে খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক জসিম উদ্দিন বলেন, মূল্যবৃদ্ধির পর বিক্রি কমে গেছে। বেচাকেনা নেই, কোনো কাস্টমার নেই। কাস্টমার না থাকার কারণেই দাম কমে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে পণ্য আনা হয়, তারা যদি কম মূল্যে দেয়, এখানেও দাম কম থাকে। আবার তারা দাম বেশি নিলে এখানেও প্রভাব পড়ে।

 

দেশে মসলাজাত পণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে মুসলমানদের কোরবানির ঈদ ঘিরে। গেল কোরবানির ঈদের আগে খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে এলাচের দাম ছিল ১২শ থেকে ১৩শ টাকা কেজি দরে। তবে এর পরের পাঁচ মাসে এই পণ্যটির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায় প্রায়। নভেম্বরের শেষ দিকে খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে এলাচ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ২২শ থেকে ২৩শ টাকা দরে। এর পরের মাসেই এই মসলাপণ্যটির দাম একলাফে বেড়ে যায় আর এক হাজার টাকা। এতে জানুয়ারিতে এই পণ্যের পাইকারি দর দাড়ায় ৩২শ থেকে ৩৩শ টাকায়।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট