চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চন্দনাইশে শঙ্খ নদীর তীরে সরিষার ব্যাপক ফলন

চন্দনাইশে ১৬৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ

শঙ্খের চরে হলুদ উৎসব

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১২:০৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফসলের মাঠ ছেয়ে আছে হলুদ সরিষার ফুলে। বিস্তীর্ণ এলাকায় হলুদ উৎসবে মুগ্ধ স্থানীয়দের মন।

জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে সরিষা চাষ। ফলে চন্দনাইশের শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা অন্যান্য সবজির পাশাপাশি সরিষা চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান। সরিষা আবাদে উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক অনেক কম। এতে ফলন ভালো হলে উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে প্রায় দুইগুণ লাভ হয়। লাভের পরিমাণ অন্য ফসলের চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছে। কৃষকদের মতে, সরিষা আবাদে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। পাশাপাশি দেশে সরিষা থেকে পাওয়া ভোজ্যতেলের চাহিদার কারণে সরিষার দাম সবসময়ই তুলনামূলক বেশি থাকে। এ কারণে রবিশস্য মৌসুমে অন্যান্য ফসল আবাদের পাশাপাশি সরিষার আবাদ বাড়াচ্ছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী দোহাজারী, লালুটিয়া, বরমা, চর-বরমা, চন্দনাইশ পৌরসভা, কাঞ্চননগর, সাতবাড়িয়া, বৈলতলী এলাকায় ব্যাপকহারে সরিষার চাষাবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, প্রতি বছরই কিছু কিছু এলাকায় বন্যার সঙ্গে পলি জমায় এ অঞ্চলের জমির মাটির সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এতে সরিষার উৎপাদন বাড়ে। সরিষার আবাদে খরচ বাদে ফসল বিক্রি করে কৃষক দ্বিগুণ টাকা আয় করতে পারেন, যা অন্যান্য আবাদে সম্ভব নয়। তাছাড়া সরকার সরিষা আবাদে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। গত বছর ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হলেও চলতি মৌসুমে ১৬৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। মাঝপথে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছু জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০ হেক্টর। কৃষকেরা বোরো চাষের পূর্বে যে সময় থাকে, সে সময়ে বারি সরিষা-১৪ চাষ করে মাত্র ৮০ দিনে ফলন পাওয়ার কারণে সরিষা চাষে এগিয়ে আসছে। চন্দনাইশের বিস্তীর্ণ বিল এলাকা সরিষার মনমাতানো হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। প্রকারভেদে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ৯ মণ হারে সরিষার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায়।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট