নগরীর ইপিজেড থানায় দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে মারধরে আহত ওমর ফারুক (২) নামে এক শিশুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ বাবা মো. ইয়ামিনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ।
গাইবান্ধা জেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আবছার আলীর ছেলে মো. ইয়ামিন নগরীর আকমল আলী রোডে পকেট গেইট এলাকার ভাড়াটিয়া।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, শিশুটির মা একজন পোশাক শ্রমিক। তিনি তার তৃতীয় স্বামী ইয়ামিনের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। ইয়ামিন কিছু করতেন না। আর বাচ্চাটি ছিল ওই মহিলার আগের সংসারের অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামীর। গত ৬ ডিসেম্বর দুষ্টুমি করায় তার শরীরে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিল অভিযুক্ত সৎ বাবা। রাতে যখন মা বাসায় ফিরে তখন শিশুটির শরীরে থাকা কালো দাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। পরদিন (৭ ডিসেম্বর) রওশনারা তার শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে প্রতিদিনকার মতো কারখানায় যান। এ সময় দুষ্টুমির কারণে রাগে তার সৎ বাবা শিশুটির চোয়াল ধরে জোরে ধাক্কা দিলে সে মাথার পেছনে আঘাত পায়।
তিনি আরও বলেন, পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। চমেকে আইসিইউ খালি না থাকায় পরে শিশুটিকে বেসরকারি হলি হেলথ হাসপাতালে আনা হয়। এই হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুর মৃত্যু হয়। পরদিন (৯ ডিসেম্বর) তার মরদেহ ইপিজেডের বাসায় আনা হয়। পুলিশ ৯৯৯ নাম্বারে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে অভিযুক্ত ইয়ামিন পালানোর চেষ্টা করেছিল। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ওইদিন ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ