দিনটা যেমন হওয়ার কথা তেমন ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ব্যাট করতে নেমে যেন তাড়াহুড়ো করেই আউট হয়েছেন ব্যাটাররা। চতুর্থ দিনে ৯৬ রান নিতেই চলে গেছে ৪ উইকেট। অথচ তৃতীয় দিনের খেলা দেখে মনে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের সামনে রানপাহাড় দাঁড় করাবে বাংলাদেশ। সেটি সম্ভবত আর হচ্ছে না। তবে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ৩০১ রানের লিড নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছে টাইগাররা। গেছেন লাঞ্চ বিরতিতে।
সবশেষ ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান। ২৭ বলে ১০ রান করে ফিলিপসকে ফলোথ্রু করে ক্যাচ হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯৪ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩০৮ রান। ৩২ রান নিয়ে খেলছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, অপরপ্রান্তে ৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন নাইম হাসান।
দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছেন শান্ত। তার কিছুক্ষণ পরেই উইকেট বিলিয়ে দিলেন শাহাদাতও। গতকালের অপরাজিত ১০৪ রানের সঙ্গে আজ মাঠে নেমে মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার শান্ত। দিনের প্রথম বলে ১০৫ রানে খেলা শান্তকে ফিরিয়েছেন কিউই পেসার টিম সাউদি। উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর ইশ সোধির বলে লেগবিফোর উইকেটের (এলবিডব্লিউ) ফাঁদে পড়েন শাহাদাত হোসেন। ১৯ বলে ১৮ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
গতকালের ৪৩ রানকে বাড়িয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মিস্টার ডিফেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। ১১৬ বলে ৬৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এর আগে দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ মুমিনুল ৪০ রানে ফিরলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ বলে সেঞ্চুুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শতক হাঁকাতে শান্ত খেলেছেন ৯টি চারের মার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। ২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। ৩০ বলে ১৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের অনেক বেশি টার্ন করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার জাকির হোসেন।
দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১১১ তে নিয়ে যায় চা-বিরতিতে যান শান্ত ও মুমিনুল।
অপ্রত্যাশিত রানআউটের মাধ্যমে শতরানের (৯০) কাছাকাছি এসে ভেঙে যায় শান্ত-মুমিনুলের জুটি। ভুল বোঝাবুঝিতে ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুমিনুল।
এর আগে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড খুব বড় পার্থক্য গড়তে পারেনি বাংলাদেশের সঙ্গে। যদিও শেষ সময়ে এসে অধিনায়ক টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনের ব্যাটে বড় লিডের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ধরে খেলা এই দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার নবম উইকেটে দলের স্কোরকার্ডে যোগ করেন ৫২ রান।
অবশেষে জেমিসনকে (২৩) এলবিডব্লিউ আর সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করেন বাঁহাতি পার্টটাইম স্পিনার মুমিনুল হক। ফলে ১০১.৫ ওভার খেলে ৩১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। তাদের লিড ৭ রানের। এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৩১০ রান।
পূর্বকোণ/এএইচ