চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চন্দনাইশ

শঙ্খের চরের মুলায় স্বাবলম্বী কৃষক

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

২৬ নভেম্বর, ২০২৩ | ৬:১৩ অপরাহ্ণ

উপজেলার শঙ্খের চরে আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে মুলা বাজারে আসতে শুরু করেছে। কৃষকেরা জানান, মাত্র ২ মাসেই হাইব্রিড মুলার চাষ করে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা মূল্যে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

 

কৃষক আবদুস শুক্কুর বলেন, ১০ হাজার টাকা খরচ করে ২০ শতক জমিতে হাইব্রিড মুলার চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ফলনের ৩০ শতাংশ বিক্রি করেই খরচের দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। পুরোপুরি বিক্রি হলে প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রয়ের আশা করছেন তিনি। আগামী মৌসুমে চাষ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার। শুধু তিনি নন, এই চরে আরও ৫০ জনের অধিক কৃষক আগাম মুলার চাষ করেছেন এবং বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন। চন্দনাইশে শীতের সবজি মুলা এবার আগেভাগে বাজারে চলে এসেছে। উপজেলার দোহাজারী, রায়জোয়ারা, বরমা, চরবরমা, বৈলতলীসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আগাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকেরা বেজায় খুশি।

 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানা যায়, চন্দনাইশে ১২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য রয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে অধিক জমিতে আগাম সবজি চাষাবাদ হয়েছে। আগাম জাতের মুলা চাষের ফলন এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কৃষক আবুল ফজল বলেছেন, ১৫ শতক জমিতে আগাম মুলা চাষাবাদ করেছেন। বীজ রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে বর্তমানে ফলন এসে বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। মুলার আবাদের মধ্যেই এখন বারোমাসি মরিচ রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। মুলা বিক্রি শেষ হলে এরপর থেকে তিনি বাজারে আগাম মরিচ তুলতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

 

রায় জোয়ারা এলাকার কৃষক রফিক বলেছেন, তিনি ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষ করে এখন বিক্রি করতে শুরু করেছেন। কৃষিমাঠে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে কৃষকেরা মুলা তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকে ক্ষেত থেকে তোলা মুলা ধুয়ে আঁটি বাঁধছেন বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কৃষকেরা বললেন, প্রতি একর মুলা চাষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। আর বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রতি একর ক্ষেতের মুলা বিক্রি করে পাওয়া যায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। পূর্ব দোহাজারীর কৃষক আবু জাফর বলেছেন, প্রতি কেজি মুলা পাইকারি বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলার পাশাপাশি তিতকরলা, লাউ, বরবটি আবাদ করে বাজারজাত করেছেন তিনিসহ কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই চাষাবাদের খরচ উঠে গেছে বলে তিনি জানান। খরচের কয়েকগুণ লাভ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, মুলার পাশাপাশি চন্দনাইশে শঙ্খ নদীর চরসহ বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের অনেক সবজি আবাদ হয়েছে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এবং মাঠে থেকে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি। আগাম এসব সবজির ফলনও হয়েছে ভালো। দাম ভালো পেয়ে চাষিরা অনেক খুশি।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট