বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড দলের এবারের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে পরাজয় তাদের এলোমেলো করে দেয়। যদিও পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে আশার সঞ্চার করলেও পরে পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খেয়ে এখন তাদের অবস্থান তালিকার তলানিতে। আজকের ম্যাচের পর তাদের হাতে একটি ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাই শুধু বিশ্বকাপ নয়, সামনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তারা জায়গা হারাতে চলেছে। কিন্তু কাগজে কলমে ইংল্যান্ড অত্যন্ত শক্তিশালী দল। ইংল্যান্ডের ঝুলিতে রয়েছে একগুচ্ছ তারকা ক্রিকেটার। বাটলার বেয়ারস্টো, জো রুট, ডেভিড মামলান, মঈন আলীর সাথে ইনজুরির কবল থেকে বেরিয়া এসে দলের সাথে যোগ দেয়া বেন স্টোকস। বিশ্ব আসরে কীভাবে জয় ছিনিয়ে নিতে হয় সেটা বেন স্টোকসের চাইতে ভালো বোধহয় কেউ জানে না। বোলিংয়ে ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, স্যাম কারেন, মার্ক উড, আদিল রশীদ, মঈন আলী কেউই তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। তাই এবারের বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের জন্য সোনার হরিণ হয়েই থেকে গেল।
প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলের সাথে জয়লাভ করে জানান দিয়েছি তাদেরকে নিয়ে ভাবতে হবে বড় দলগুলোকে। তবে বিশ্বের বড় বড় দলগুলির বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সুযোগ তারা এখনো পাইনি। আর তাই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অন্তরায় হলো অনভিজ্ঞতা। সাত ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে তারা পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বরে। আজকের ম্যাচের পরে তাদের একটি খেলা রয়েছে ভারতের বিপক্ষে। তাই তারা হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা জাগিয়ে রাখতে আটে জায়গা করে নিতে চাইবে। নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং ইউনিট ঠিকমত জ্বলে উঠতে পারছে না। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস চেষ্টা করেও যোগসূত্রটা মেলাতে পারছেন না। ম্যাক্স ও দাউদ, বিক্রমজিৎ সিং, অ্যাকারম্যান, রুলফ ভ্যান ডার মারউই কেউই নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। বাস ডি লিড হলো নেদারল্যান্ডসের আশার কারিগর। তবে অভিজ্ঞতার অভাবই নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে যেতে দিচ্ছে না। তাই নেদারল্যান্ডসকে চেষ্টা করতে হবে শুধু ‘জায়েন্ট কিলার’ হিসেবে পরিচিত না হয়ে, যে পরিশ্রম এতদিন সততার সঙ্গে করে তারা বিশ্বকাপে এসেছে, সেটা পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব বাধা ডিঙিয়ে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
পূর্বকোণ/আরডি