‘ফসিল ফ্রি লন্ডন’ আয়োজিত বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তারের পর গ্রেটা থানবার্গের বিরুদ্ধে পাবলিক অর্ডার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০ বছর বয়সী থানবার্গের বিরুদ্ধে পার্ক লেনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বাইরে ১৪ ধারার আদেশ লঙ্ঘন করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার একটি হোটেলের সামনে হোটেলে তেল ও গ্যাস কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক চলছিল। সেখানে থেকে মোট ২৭ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ২৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গ্রেটা থানবার্গ সুইডিশ নাগরিক। গত ১৫ নভেম্বর একটি মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনে এক হোটেলে তেল ও গ্যাস কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মেলন চলছিল। মূলত ওই সম্মেলনকে ঘিরে ‘ওয়েলি মানি আউট’ বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল পরিবেশবাদী সংগঠন ফসিল ফ্রি লন্ডন ও গ্রিনপিস। থানবার্গসহ কয়েকশ বিক্ষোভকারী হোটেলের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। পরে তারা হোটেলে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দেন।
আটকের আগে থানবার্গ গণমাধ্যমকে বলেন, দরজা বন্ধ করে সম্মেলনের নামে মেরুদণ্ডহীন রাজনীতিবিদেরা ধ্বংসাত্মক জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের লবিস্টদের সাথে চুক্তি এবং আপস করছেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জীবাশ্ব জ্বালানি নিয়ে কাজ করা কোম্পানিগুলো বেশি লাভের জন্য ইচ্ছে করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির গতি ধীর করে দিচ্ছে।
থানবার্গ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে পৃথিবী ডুবে যাচ্ছে৷ ‘‘আমাদের আশা, স্বপ্ন এবং জীবন মিথ্যার বন্যায় ভেসে যাচ্ছে,” বলেন তিনি। ২০ বছর বয়সী থানবার্গ অভিযোগ করেন, কয়েক দশক ধরে এটি স্পষ্ট যে জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে কাজ করা কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায়িক মডেলগুলোর পরিণতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত ছিল৷ কিন্তু তারপরও তারা কিছু করেনি। ‘‘শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে এই সম্মেলন বিঘ্নিত করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। এবং আমাদের প্রতিবারই তা করতে হবে। আমাদের তাদের দেখিয়ে দিতে হবে যে, এ থেকে তারা রেহাই পাবেন না,” বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সম্মেলন চলবে। সেই সময় পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ