চট্টগ্রাম সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বয়স ১৪ হলেই খোলা যাবে মোবাইল ব্যাংক হিসাব

অনলাইন ডেস্ক

৪ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়তে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল আগে থেকেই। তবে মোবাইল ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বাধ্যবাধকতা থাকায় ১৮ বছরের কম বয়সীদের এই সেবা ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। দেশের সব ধরনের মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে অন্তর্ভুক্ত করতে এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদেরও এই সেবা ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে দেশের ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীরা এনআইডি ছাড়াই মোবাইল ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে তাদের জন্মসনদ এবং অভিভাবকের এনআইডি। এসব হিসাবে মাসে ১০ বারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে।

 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি দেশের সব এমএফএস অপারেটর তথা মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসারে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়ে নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলারে বলছে, এসব এমএফএস হিসাব খুলতে হলে কিশোর বা কিশোরীর জন্মসনদ এবং অভিভাবকের জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এন্ট্রি করতে হবে। হিসাব খোলার জন্য অভিভাবকের এমএফএস হিসাব বাধ্যতামূলকভাবে লিংকড এমএফএস অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তাই অভিভাবকের এমএফএস হিসাবের সত্যতা নিশ্চিত করে এ হিসাব খুলতে হবে।

 

কিশোর-কিশোরীর মোবাইল ব্যাংক হিসাব খুলতে মা-বাবা কিংবা আইনি অভিভাবকের সম্মতিও প্রয়োজন হবে। তাদের মোবাইলে ওটিপি পাঠিয়ে নিতে হবে এ সম্মতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, লেনদেনে হিসাবধারীর মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে লেনদেনের তথ্য অভিভাবককে জানাতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এসব হিসাবধারীরা দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ বার লেনদেনের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবে। দিনে ক্যাশ আউট করা যাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি লেনদেনের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা।

 

এদিকে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির (পি-টু-পি) হিসাবে দিনে সর্বোচ্চ পাঁচটি লেনদেনের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বার সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা লেনদেনে করা যাবে। পরিসেবা ও এডুকেশন ফি দেওয়া যাবে দৈনিক সর্বোচ্চ তিনটি লেনদেনে পাঁচ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বার লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া এসব হিসাবে স্থিতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট