রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, নৌকাবাইচ আবহমান গ্রাম-বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অনন্য ঐতিহ্য। নৌকা জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশ। এই চেতনাকে যারা অবরুদ্ধ করতে চায়, তারা আজ পরাজিত। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে এগিয়ে নিতে। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু নৌকায় চড়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছেন। নৌকা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। এই চেতনা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পাবনার সাঁথিয়ায় ইছামতী নদীতে নৌকাবাইচের চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাঁথিয়া পৌরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা তাঁকে ধরে রাখতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু আমাদের সঙ্গে না থাকলেও তাঁর নীতি-আদর্শই বাঙালির এগিয়ে যাওয়ার পথনির্দেশিকা ও অনুপ্রেরণা। আমরা তাঁর দেখানো পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বাংলাকে পরিণত করব তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায়। এটাই হোক আজকে আমাদের সবার অঙ্গীকার।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ গোটা বিশ্বের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির নেতিবাচক পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল প্রমুখ।
এদিন বহু কাঙ্ক্ষিত পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ