দেশে অসংক্রামক ব্যাধিতে যাদের মৃত্যু হয়, তার ১০ শতাংশই মারা যান শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে। শুধু তাই নয়, দেশে শিশু মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণও হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ বুলেটিনে এমন তথ্যই পাওয়া যায়। তাই ফুসফুসের সমস্যা থেকে বাঁচতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। এমন বাস্তবতার মধ্য দিয়েই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ২৫ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে বিশ্ব ফুসফুস দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে সার্বজনীন প্রবেশাধিকার’।
এদিকে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে জনসংখ্যার শতকরা ১২ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ ফুসফুসজনিত সমস্যা বা সিওপিডিতে (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) আক্রান্ত। যার মধ্যে শতকরা ২৪ দশমিক ৮ ভাগ ধূমপায়ী, ২৮ দশমিক ১ ভাগ সাবেক ধূমপায়ী। যারা বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, এছাড়া ৬ দশমিক ১ ভাগ অধূমপায়ী।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ বুলেটিন অনুযায়ী, শিশু মৃত্যুর যে দশটি প্রধান কারণ রয়েছে, তারমধ্যে দুই নম্বরে রয়েছে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টজনিত রোগে।
গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে চার কোটির বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। গ্রামের দিকে যে কাঠের চুলায় রান্না হয়, তার ধোঁয়া ফুসফুসের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। যেহেতু নারীরা চুলার খুব কাছে থাকেন, প্রতিদিন এবং লম্বা সময় ধরে তাই খুব সরাসরি এই ধোঁয়া তার ফুসফুসে প্রবেশ করে। এছাড়া রয়েছে মশার কয়েলের ধোঁয়া যার ক্ষতিও কম নয়।
অন্যদিকে, বিশ্ব ফুসফুস দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা আয়োজন করা হচ্ছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে আলোচনা সভা ও র্যালি এবং ফ্রি চিকিৎসা সেবার আয়োজন করা হয়।
পূর্বকোণ/আরডি