চট্টগ্রাম বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

‘আলু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন’

বিজ্ঞপ্তি

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯:১৬ অপরাহ্ণ

আলু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

 

আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আলুর দাম বৃদ্ধির সাথে জড়িত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।

 

সুজন বলেন, সরকার প্রান্তিক কৃষকদের দোরগোড়ায় ন্যায্যমূল্যে সার, বীজ এবং কৃষি উপকরণ পৌঁছে দেওয়ার কারণে সারাদেশে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আলুর বাম্পার ফলন হলেও সাধারণ ভোক্তারা সুফল লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তাতে আলুর কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও বাজার মূল্যের চেয়ে অনেকটা বেশি দামে বাজার থেকে আলু কিনে চাহিদা মিটাতে হচ্ছে ভোক্তাদের। একশ্রেণির অসাধু মজুতদার পরিকল্পিতভাবে আলুর বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। মুন্সিগঞ্জসহ দেশের প্রতিটি হিমাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু মজুদ থাকার পরও বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকের হাতে কোনো আলু নেই। আড়তদার ও বড় ব্যবসায়ীরা আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে নগরীর বাজারগুলোতে বাড়ছে আলুর দাম। সরকার আলুর বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও প্রতি কেজি আলুতে ১০-১৫ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে খুব বেশি সমস্যায় পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের লোকজন। তবে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার যেভাবে মাঠে কাজ করছে সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

 

তিনি আরো বলেন, সরকার আলুর মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যখনই ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে তখনই কয়দিন ধরে নগরীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার রেয়াজউদ্দিন বাজার, পাহাড়তলি বাজার, চাকতাইসহ অন্যান্য বাজারে আলু সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। ফলত এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে নগরীর অন্যান্য বাজারগুলোতে। এর ফলে বাজারগুলোতে আলুর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি মুন্সীগঞ্জ এবং অন্যান্য জেলার হিমাগার থেকে সরাসরি আলু এনে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারগুলোতে আলু সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। এক্ষেত্রে নাগরিক উদ্যোগের সকল সদস্য সরকারের এ প্রক্রিয়ার সহযোগী হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে আগ্রহী। প্রয়োজনে প্রান্তিক ভোক্তা পর্যন্ত আলু সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তারপরও কোন অবস্থাতেই মূল্যবৃদ্ধি সিন্ডিকেটের কাছে মাথা নত করা যাবে না। আলুর দাম কমাতে প্রয়োজনে হিমাগারগুলোকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসারও অনুরোধ জানান সাবেক চসিক প্রশাসক সুজন।

 

এছাড়া যেসব আড়তদার আলুর গুদাম বন্ধ রেখে আলু বিক্রি করছে না তাদের গুদামগুলো সীলগালা করার জন্য ভোক্তা অধিকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। তিনি এ পরিস্থিতিতে সাধারণ ভোক্তাদের কিছুটা ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ জানান এবং আপাতত এক কেজির অধিক আলু ক্রয় না করারও অনুরোধ জানান। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আলুর বাজার শিগগিরই স্থিতিশীল হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন খোরশেদ আলম সুজন।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট