চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফ্রি পড়ানোর নামে কোচিং বাণিজ্য!

কোয়াড এইচ ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের  বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:১৩ অপরাহ্ণ

শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ানোর কথা বলে মাসে ৬শ টাকা কোচিং ফি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কোয়াড এইচ ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।  পরীক্ষায় পাস করার জন্য কোচিং ফি বাবদ প্রতিমাসে ৬শ করে এই টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ একাধিক অভিভাবকের। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে থানা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আবদুল জব্বার ভূঞা।

 

বিদ্যালয়ের সভাপতি, অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৬ মাস আগে তিনি কোয়াড এইচ ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে যোগ দেন। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কোচিং করানোর কথা বলে মাসে ৬০০ টাকা কোচিং ফি দাবি করেন। এছাড়া, মাসে ৬০০ টাকা করে কোচিং ফি দিলে পরীক্ষায় পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

মহিবুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ মাস আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিনামূল্যে কোচিং এর কথা বলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মাসে ৬০০ টাকা ফি নিয়ে বাধ্যতামূলক কোচিং করান। এ অবস্থায় তাকে বদলির জন্য অভিভাবকগণ গণস্বাক্ষর প্রদান করেন।

 

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আবদুল জব্বার ভূঞা বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম শুরু করেন। এর আগে তিনি যে বিদ্যালয়ে ছিলেন, সেখানেও একই অনিয়ম করেছেন। এ সব বিষয়ে আমরা থানা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার নুর মোহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি আমাদের নতুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এই অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ব্যবস্থা নিবেন।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কোয়াড এইচ ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের নম্বারে কল করা হলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে ফোন বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট