চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘দাঁত গজানোর ওষুধ’ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু আগামী বছর

অনলাইন ডেস্ক

৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ২:১১ অপরাহ্ণ

জাপানে উদ্ভাবিত নতুন দাঁত গজানোর একটি ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই করতে আগামী বছরের জুলাই থেকে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে।

 

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর ২০৩০ সালের মধ্যে এ ওষুধটি জনসাধারণের ব্যবহারের উপযুক্ত করে তোলার পরিকল্পনা করছে গবেষক দল । গবেষক দল মনে করছেন  এ কাজে তারা সফল হলে দন্তচিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে এবং এটি একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে।

 

জাপানের ওসাকায় মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট কিটানো হাসপাতালের দন্তচিকিৎসা এবং ওরাল সার্জারি বিভাগের প্রধান কাটসু তাকাহাশি প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করছেন নতুন ওষুধটি নিয়ে।

 

তিনি বলেন, নতুন দাঁত গজানোর এই আইডিয়াটা প্রত্যেকে দন্তচিকিতৎকের স্বপ্ন থাকে। আমি স্নাতকের শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় এটা নিয়ে কাজ শুরু করি। এমন একটা ওষুধ যে উদ্ভাবন করা যাবে সে ব্যাপারে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন দিন দেখার আশায় আছি যখন কৃত্রিম দাঁত বাঁধানো এবং ইমপ্ল্যান্টের পাশাপাশি নতুন দাঁত গজানোর ওষুধও মানুষ ব্যবহার করবে।

 

ইয়াহু ফাইন্যান্স এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৯১ সালে জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে আণবিক জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সময় তাকাহাশি তার স্বপ্নপূরণের পথে যাত্রা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞানীদের ইঁদুরের দাত গজানোর সঙ্গে কোন জিন সম্পর্কিত তা অন্বেষণে গবেষণা করতে দেখে তাকাহাশির দল ইউএসএজি-১ প্রোটিনকে টার্গেট করে একটি অ্যান্টিবডি তৈরির উদ্যোগ নেন যা বাড়তি দাঁত গজানো ত্বরান্বিত করে।

 

২০১৮ সালে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় এর প্রমাণও পাওয়া যায়। পরীক্ষায় দেখা যায়, স্বাভাবিক সংখ্যক দাঁত রয়েছে এমন একটি ইঁদুরকে এই অ্যান্টিবডি-ভিত্তিক ওষুধ দেওয়ার পর এটির নতুন দাঁত গজিয়েছে।

 

গবেষণার এসব ফলাফল পাওয়ার পর তাকাহাশির দল আরও এগিয়ে যায় এবং তাদের গবেষণা অব্যাহত রাখে; তারা নির্দিষ্ট কিছু জিনকে টার্গেট করে যেগুলো কিনা দাঁতের বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ২০০৫ সালে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে মিলে তারা একটি জিন শনাক্ত করেন, যেটি ইউএসএজি-১ প্রোটিন উৎপাদনের জন্য দায়ী- যা কিনা দাঁত গজানোর সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে ফেলে।

 

তবে দাঁত মুখের কোথায়, কি আকারে এবং কয়টি গজাবে- সেসব নিয়ন্ত্রণ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ এর আগে গবেষণাটি প্রাণী মডেলের ওপর পরিচালিত হয়েছে, মানুষের ওপর প্রয়োগে কি ঘটবে তা এখনো অনিশ্চিত বলে মতামত ব্যক্ত করেন আমেরিকান ডেন্টাল এসোসিয়েশনের ডা. এরিন কেনেডি।

 

আগামী দিনে যদি গবেষণা সফল হয়, তাহলে আরও যেসব সমস্যার কারণে মানুষের দাঁত পড়ে যায়, (যেমন- গাম ডিজিজ) সেগুলোর সমাধান করতেও হয়তো নতুন এ ওষুধ ব্যবহৃত হতে পারে।

 

র্পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন