নগরীর মাঠগুলো যখন শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জোরদার হচ্ছে, তখন নতুন করে মেলার দখলে চলে যাচ্ছে সিআরবির শিরীষতলার মাঠটি।
দীর্ঘদিন ধরে শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই মাঠে একের পর এক মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শেষ হতে না হতেই ফের সেখানে ১৫ দিনব্যাপী দেশীয় পণ্য ও জামদানি মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আউটার স্টেডিয়াম, পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ নগরীর মাঠগুলোতে প্রায় সারা বছর নানা ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে শিরীষতলার ছোট মাঠটি ছিলো শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা করার বড় জায়গা। সাম্প্রতিক সময়ে আউটার স্টেডিয়াম ও পলোগ্রাউন্ডে মেলার আয়োজন বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে নগরবাসী আশা দেখলেও নতুন করে শিরীষতলার মাঠটি মেলার দখলে চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- শিরীষতলার মাঠে একের পর এক মেলার আয়োজন করায় শুধু শিশু-কিশোররা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না, চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সিআরবির প্রাকৃতিক পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। সবুজের সমারোহে নগরবাসীর হাঁটাচলায় বিঘ্ন ঘটছে। সিআরবিতে প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে। মেলাকে কেন্দ্র করে নানা অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় সিআরবির পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
দ্রুত শিরীষতলার মাঠে মেলার আয়োজন বন্ধ করার দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। তাদের প্রশ্ন- সাধারণত মেলার আয়োজন করা হয় বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে। যারা এ ধরনের মেলার আয়োজন করেন তারা চাইলেই বড় কোনো কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে পারেন। কিন্তু খেলার মাঠ দখল করে এভাবে মেলার আয়োজন করলে শিশু-কিশোররা যাবে কোথায়? খেলবে কোথায়?
জানতে চাইলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, মাত্র ১৫ দিনের জন্য ছোট একটি মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শিরীষতলায় নানা সময়ে নানা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়। এবার আয়োজকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনুমতি দিয়েছি।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ