চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

‌‘চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নারীর স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখছে ওজিএসবি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৪:১৮ অপরাহ্ণ

চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃৃদ্ধি করা ছাড়াও সরকারের নীতি সহায়তা, দেশের মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবষ্টেট্রিকাল এন্ড গাইনোকলজিকাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (ওজিএসবি)।

মাতৃমৃত্যু কমানোর কৌশল হিসেবেও সংগঠনটি বড় ভূমিকা রেখেছে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, নিরাপদ প্রসব সেবা ও জরুরি প্রসব সেবার। এছাড়াও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, জরায়ুমুখ ক্যান্সার নির্মুলের কর্মকাণ্ড (টিকা, ভায়া পরীক্ষা) ভূমিকা রয়েছে সংগঠনটির। যা স্বাস্থ্যসেবার জন্য এক অনন্য অর্জন।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবষ্টেট্রিকাল এন্ড গাইনোকলজিকাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (ওজিএসবি) চট্টগ্রাম শাখার বার্ষিক সাধারণ সভা ও সাইন্টিফিক সেমিনার এসব কথা বলেন বক্তারা।

এতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের স্বনামধন্য মহিলারোগ বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে বক্তারা বিভিন্ন জটিল স্ত্রী রোগ ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা এবং মতামত প্রদান করেন।

ওজিএসবি চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা রুনা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ও প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডা. মোহাম্মমদ শরীফ।

ইসমাইল খান বলেন, বিগত কয়েক দশকের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ওজিএসবি আস্থা ও সুনাম অর্জন করেছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা সামনে করবে। চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও অবদান রেখেছে।

অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা রুনা বলেন, সেমিনারের মাধ্যমে চিকিৎসকবৃন্দ রোগীদের আর্ন্তজাতিক মানের সেবা প্রদানের দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। স্ত্রী রোগ চিকিৎসকদের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। আমরা বিশেষজ্ঞ গাইনী চিকিৎসকদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞান দিয়ে প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা করেছি। এতে মাতৃমৃত্যুর হার কমবে এবং গাইনী চিকিৎসকরা রোগীদের জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারবেন।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট