যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই। যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই! তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।”….
এ গানের কথাগুলো শুনলেই চোখ ভিজে আসে। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা শুধু বাংলায় কেন এই গোটা পৃথিবীতে খুব বেশি নেই যিনি একটা জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, দিনের পর দিন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন স্বাধীনতার জন্য এবং সত্যি সত্যি তিনি সেই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন ।
আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত বেদনাবিধুর, অশ্রুঝরানো, শোকাবহ মাস । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতি হারিয়েছে তার অমূল্য রতন । সেদিনের কিছু স্মৃতিকথা আজ আমি নতুন প্রজন্মের জন্য এখানে তুলে ধরতে চাই। ‘বাংলাদেশ জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলন’-এর ব্যানারে চট্টগ্রামে আমরা একটি সাংস্কৃতিক সম্মেলনের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম। স্থানীয় মুসলিম হলে ১৭ আগস্ট হতে ১৯ আগস্ট তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন হবে ঠিক হলো। তপন বৈদ্য ছিলেন এ সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আর আমি (মো. রেজাউল করিম চৌধুরী) ছিলাম যুগ্ম আহ্বায়ক । ভারত ও বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের অনেকেরই এ সম্মেলনে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছিল । বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলুল হক মণি ভাই এ ব্যাপারে আমাদেরকে বিশেষ সহযোগিতা করেছিলেন। কথা ছিল, সম্মেলনের প্রত্যেক দিন একটি করে তিন দিনেমোট তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হবে। আর, নাটক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ। জাতীয় সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার উন্নয়নে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল ছিলেন অন্তঃপ্রাণ। আমাদের সাংস্কৃতিক সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে আমরা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ কামাল সাহেবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় আমরা আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মান্নান ভাইয়ের বাসায় যাই, তার সঙ্গে আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতির নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। তিনি আমাদেরকে সম্মেলনের খরচের জন্য ৫০০০ টাকা দেন এবং রাতের ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন । এরপর আমরা তৎকালীন জেলা প্রশাসক এবি চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তিনি আমাদেরকে পরদিন সকালে তার বাসায় যেতে বলেন। সব শেষে আমরা ১৪ই আগস্ট দিবাগত রাতে তৎকালীন পূর্বদেশ পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সাংবাদিক নুরুল ইসলামের বাসায় যাই। কাশেম চিশতিও সেদিন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ঐ রাতেই ১১টার সময় নুরুল ইসলামের বাসার ল্যান্ডফোন থেকে আমরা সম্মেলনের উদ্বোধক বঙ্গবন্ধুপুত্র শেখ কামাল ভাইয়ের সাথে কথা বলি। তিনি ১৭ তারিখে আমাদের সম্মেলনে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করার ব্যাপারে আমাদেরকে শতভাগ আশ্বাস প্রদান করেন। নুরুল ইসলামের নন্দনকাননস্থ বাসা থেকে বেরিয়ে আমরা যখন চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছাই, তখন রাত ১টা। বেশকিছু কুকুর একসঙ্গে কান্নার রোল তুলে ডাকছিল । মনটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠল, কেমন যেন বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল শরীর মন। তাছাড়া মুরব্বীদের মুখে শুনেছি, কুকুরের কান্না নাকি অশুভ লক্ষণ ।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে তপন বৈদ্য বলল, “দেশে কোথায় কোন্ অঘটন ঘটতে চলেছে কে জানে? কুকুরগুলো এভাবে কান্না করছে কেন?” আমি সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, ওসব কিছুই না। এগুলো সব মুরব্বীদের বলা কুসংস্কার। তারপর আমরা ঘুমোতে যাই । সকালে ওঠে ডিসির বাসায় যাব, খুব ভোরে লেয়াকত নামে জাসদ সমর্থক এক ছাত্র আমাকে জানাল, বঙ্গবন্ধুকে নাকি ভোরবেলায় হত্যা করা হয়েছে। আরেকটু পর আরেক ছাত্রনেতা গোলাম মোহাম্মদও একই কথা বলল। আমি তাদের কথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। প্যারেড কর্নারের পূর্ব পাশে খালেকের বাসায় গিয়ে তাকে ঘুম থেকে উঠালাম। বললাম, তোমার রেডিওটা অন করো। রেডিও অন করতেই খুনিদের ঘোষণা শুনতে পেলাম । তবুও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, সবকিছুই স্বাধীনতাবিরোধীদের অপপ্রচার। নিজে এবং সবাই শান্ত থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে আমরা দ্রুত মতিন বিল্ডিংয়ের ছাত্রলীগের অফিসে যখন গেলাম তখন সকাল ৯টা। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা সরফরাজ খান বাবুল, সন্দ্বীপের রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ির আনোয়ারুল আজিম, শওকত হোসেন, মান্নান, ইসমাইল, কাশেম চিশতী, পটিয়ার এমএ জাফর, শামসুজ্জামানসহ বিশ-পঁচিশজন ছাত্রনেতাকে একসঙ্গে পেলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করার। তৎক্ষণাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কে সি দে রোড, টিঅ্যান্ডটি অফিস, লালদিঘি হয়ে রেয়াজউদ্দীন বাজার আমতল, তিনপুলের মাথা ঘুরে শহীদ মিনার হয়ে আবারও পার্টি অফিসে আসি। কোথাও কোনো বাধা পাইনি। রাস্তায় তেমন কোনো মানুষজন কিংবা পুলিশও ছিল না। সবদিকে কেমন জানি সুনসান নীরবতা।
তপন বৈদ্যের বাসা ছিল ফকিরহাট। মিছিলের পর আমরা তার বাসায় যাওয়ার পথে আগ্রাবাদ রেডিও স্টেশনের সামনে নামলাম এবং স্টেশনে ঢুকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে বক্তব্য রাখার সুযোগ চাইলাম। রেডিও কর্তৃপক্ষ রাজি হলেন না। তারপর তপন বৈদ্যের বাসায় চলে যাই। বাকশাল সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে জেলাগভর্নরদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য নেতাদের প্রায় সবাই ঢাকায় ছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের সব যোগাযোগ মূলত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিকালে আমরা আবারও বেরিয়ে পড়ি । মুক্তিযোদ্ধা চেঙ্গিস খানের শ্বশুরের কাজীর দেউড়িস্থ বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আমরা কজন কথা বলছিলাম। বিকাল ৫টার দিকে দেখলাম সামরিক বাহিনীর কিছু গাড়ি রাস্তায় বেরিয়ে পথচারীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।
আমরা রাস্তার পাশ ছেড়ে কিছুটা ভেতরে গলির দিকে ঢুকে পড়লাম । আমাদের মধ্যে কাশেম চি- শতীর বাসা ছিল চাক্তাই। আমরা সবাই যে যার বাসায় চলে গেলাম। ১৭ আগস্ট সকালে চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেল থেকে রাউজানের সালাম ও বাবুল আমাদের বহরদার বাড়ির বাসায় আসে। পরবর্তী করণীয় আলোচনা করতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী ও কিছু কিছু আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে লাগলাম ।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসএম ইউসুফ ভাই (মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর জেলা প্রধান) একদিন রাতে আমার বাসায় আসলেন মজিদের মোটরসাইকেলে চড়ে। বললেন, “চল বাইরে যাব।” মাকে বলে বেরিয়ে পড়লাম (মা অবশ্য বাধা দিয়েছিলেন) দুজনেই । ইউসুফ ভাই আমাকে জামালখানস্থ নজরুলের বাসায় রেখে কোথায় জানি চলে গেলেন। সেই রাতে নজরুলের বাসায় রয়ে গেলাম। সকালে সাতকানিয়ার মুনিরের মারফত ইউসুফ ভাই খবর পাঠালেন। বললেন, তিনি আসবেন। সারাদিন অপেক্ষায় ছিলাম, রাত ১০টার দিকে আবারও মনির এসে আমাকে তার সঙ্গে বের হতে বললেন। বললেন, ইউসুফ ভাই আমাদের জন্য অভয়মিত্র ঘাটে অপেক্ষা করছেন। অভয়মিত্র ঘাটের একটি ফিশিং বোটে আনোয়ারুল আজিম, গোলাম রাব্বানী, মোহাম্মদ সেলিম, শওকত হোসেন, রফিক, মনির, কাজী আবু তৈয়ব, মহিউদ্দিন রাশেদ, শামসুজ্জামান, জাফর, দেলোয়ার, মান্নানসহ আমরা ১৪ জন ইউসুফ ভাইয়ের সঙ্গে বসলাম। ইউসুফ ভাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে করণীয় সম্পর্কে আমাদের উদ্দেশে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন এবং যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এ বৈঠকের ঠিক ১৫ দিন পর আমরা নিউমার্কেট মোড়, আগ্রাবাদ, কাজীর দেউড়িসহ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি জায়গায় গ্রেনেড চার্জ করি। এরপর ইউসুফ ভাইসহ কাজী আবু তৈয়ব ও আমি আমাদের নেতা মান্নান ভাইয়ের বাসায় যাই।
শক্তি সংগ্রহের জন্য ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে মান্নান ভাইকে বুঝিয়ে বলি। মান্নান ভাই এতে রাজি হলেন না । কিন্তু ইউসুফ ভাই ঠিকই ভারতে চলে গেলেন। এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের জাঁতাকলে পড়ে কোথাও জড়ো হওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ল । তখন নিউমার্কেটে নজরুলের শাহ আমানত স্টোর হয়ে উঠল আমাদের যোগাযোগের অন্যতম ক্ষেত্র। এখানে আমরা ক্রেতাবেশে আসতাম এবং পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতাম। একসময় সিদ্ধান্ত নিলাম, আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে লিফলেট ছাপিয়ে বিতরণ করব।
ছাপানোর দায়িত্ব ছিল ফটিকছড়ির এসএম ফারুকের ওপর। যথারীতি লিফলেট ছাপানো হলো, বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করা হলো। এভাবে বিক্ষিপ্তভাবে আমরা প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকলাম। নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ আমরা জানতে পার- লাম, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানকে কারাগারের ভেতরে ব্রাশফ- ায়ারে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন মুক্তিযোদ্ধা নুরুল বশর ও আমি আমাদের বহরদার বাড়ির বাসা থেকে বেরিয়ে কাজেম আলী স্কুলের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে লিয়াকত (পরবর্তীতে কমিশনার) ও আওয়ামী লীগ কর্মী ফোরক আহমদের সঙ্গে দেখা হয়। ৪ জন মিলে আলাপ করলাম কী করা যায়! লিয়াকত বলল, “চল আমরা চট্টগ্রাম কলেজে গিয়ে প্রতিবাদ মিছিল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই ১৯৭২ সালে, বের করি।” যদিও আমি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। আমরা সম্মেলন না হওয়ায় তখনও আমি চট্টগ্রাম কলেজ কয়েকজন দ্রুত কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়লাম আর গ্যালারি-২ এ গিয়ে বললাম, ক্লাস হবে না। শিক্ষক আবু তাহের তা মানতে রাজি হলেন না। লিয়াকত ক্যাম্পাসের এদিক সেদিক ছোটাছুটি বললো। তারা এখন এদেশকে পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখছে। এ দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধাও বেঁচে থাকতে তাদের এ স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না। আমি বললাম সবার আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে হবে। আমার বক্তব্যের পর হলের অধিকাংশ মানুষ হাত তালি দিয়ে আমার বক্তব্যকে সমর্থন জানায় এবং হলের বাইরে যারা ছিলেন তারা সবাই জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে। আবার অনেকেই বললেন, কি বলে মোশাররফ সাহেব এসব! মোশাররফ সাহেবের আজ রেহাই নেই। তাকে আজ রাতেই লালদিঘি যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাঙালি জাতির বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র ও সফল গণ-বিপ্লবের অনন্য মহানায়ক। জাতীয় দাবি ছয় দফা উত্থাপন এবং সেই দাবিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও উদীপ্ত করতে তাকে আগরতলার মামলার আসামি হয়ে ফাঁসি কাষ্ঠে মুখোমুখি হতে হয়। অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন জীবনের মূল্যবান সময়। তবু পিছু হটেননি ক্ষণিকের জন্যও। তাঁর প্রচণ্ড আত্মশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের কারণে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়ে ওঠেন। যার ফলে তাঁর হাত ধরেই আসে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। এ মানুষটি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণে একটি স্বল্পোত দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসলে দেশের রাজনীতির চিত্র পুরো পাল্টে যায়। জনগণের ভালোবাসায় শক্তি সঞ্চয় করে বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন এবং ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঠাঁই করে নেয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে তিনি আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত অধিকাংশকেই বিচারের মুখো- মুখি করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দেয়া দেশ তাঁরই কন্যার হাত ধরে আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।
লেখক : মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
পূর্বকোণ/পিআর