আজ রবিবার থেকে নগরীর ৫টি ওয়ার্ডের ছোট নালা পরিষ্কার শুরু করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। চান্দগাঁও, মোহরা, পূর্ব ষোলশহর, পশ্চিম ষোলশহর এবং শুলকবহর ওয়ার্ড দিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে। মূলত সড়কের পাশের নালা থেকে বড় নালা এবং খালে যাতে পানি পড়তে পারে সেই ব্যবস্থা করতেই এই উদ্যোগ। একাজে অতিরিক্ত ২০০ লোক নিয়োজিত করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে অন্য ওয়ার্ডগুলোও পরিষ্কার করা হবে। অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত নগরীর নিন্মাঞ্চলের ওয়ার্ডসমূহের নালাগুলো দ্রুত পরিষ্কার করার লক্ষ্যে তদারক কমিটিও গঠন করেছে সংস্থাটি।
জানতে চাইলে চসিকের পিএস টু মেয়র এবং প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম পূর্বকোণকে বলেন, যেসব ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে সেখানকার ছোট নালাগুলো পাহাড়ি মাটি ও বালিতে ভরাট হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়গুলো মূলত বালির পাহাড়। তাই অতিবৃষ্টিতে সহজেই পাহাড়ের বালি নেমে আসে। এতে সড়কের পাশের নালাগুলো ভরাট হয়ে যায়। তাই সড়কের পাশের নালাগুলো দ্রুত পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। একেকটি ওয়ার্ড ধরে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা হবে। প্রথমে ৫ ওয়ার্ড শেষ করে পরের ৫ ওয়ার্ডের কাজ শুরু করা হবে। অতিরিক্ত ২০০ জনের মধ্যে চসিকের বিশেষ দলের ১০০ জন বাকি ১০০ জন বাইরে থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে একাজ করা হচ্ছে। ওয়ার্ডসমূহের মধ্যে ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডে সমন্বয় করবেন উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ৫ নং মোহরা ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবু তাহের ছিদ্দিকি, ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হাসান রশিদ ও প্রণব শর্মা, ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কল্লোল দাশ, ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ হাসান রেজা ও আলী আকবর।
জানতে চাইলে চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী পূর্বকোণকে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে নালা পরিষ্কারের জন্য ১২ থেকে ১৫ পর্যন্ত লোকবল আছে। এর সাথে প্রথম দিন ৫ ওয়ার্ডে বাড়তি ৪০ জন করে লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে কাজের ভিডিও এবং চিত্র সরবরাহের মাধ্যমে প্রতিটি নালার কাজের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করা হবে।
পূর্বকোণ/পিআর