চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন একজন মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি একজন মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। বিতর্কিত ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দিনের ওয়ান ইলেভেন সরকারের চরম নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে আরাফাত রহমান কোকো নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। আরাফাত রহমান কোকো ৫৪তম জন্মদিনে আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং মহান আল্লাহতায়ালা যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করে এই দোয়া কামনা করছি।
আজ তিনি শনিবার (১২আগস্ট) বিকেলে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আরফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে অসহায় দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, অনির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কারণে চট্টগ্রামের আজ বেহাল দশা। গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক আয়োজিত উন্নয়ন সভা হয়েছে তা আমরা পত্র পত্রিকায় দেখতে পেয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সিডিএ’র চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র উপস্থিত না হয়ে প্রমাণ করেছে তারা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে না। তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। শুধু তাই নয় তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের কাছে কোন জবাবদিহিতা নেই। নগর উন্নয়নে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। নগর উন্নয়ন নিয়ে তাদের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। সিডিএ দোষছে সিটি কর্পোরেশনকে, সিটি কর্পোরেশন দোষছে সিডিএ’কে। তাদের দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে আজ নগরবাসী সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগছে । তাদের ব্যর্থতার কারণে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পূর্বকোণ/পারভেজ