বৃষ্টি থেমেছে একদিন আগে। তবে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন সুন্নিয়া মাদ্রাসা-নাজিরপাড়া সড়ক থেকে এখনো সরেনি পানি। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, ক্ষণিকের বৃষ্টিতেই সড়ক পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। যাতে নাজিরপাড়াবাসীর জন্য নিদারুণ যন্ত্রণা ও কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বাসিন্দারাই নন, চলাচলেও এ সড়কটি চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃহত্তম সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের। এ পথে যাতায়াতকারীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, খানাখন্দে ভরা সড়কটি মোটেও চলাচলের উপযুক্ত নয়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারেন জলাবদ্ধতার যন্ত্রণা কতটা ভয়াবহ। পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সুফিয়ান নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘এই এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। ঠিক মতো পরিষ্কার করা হয় না।
সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে হাঁটু থেকে কোমড় পানি হয়ে যায়। দু’দিন আগেও এখানে বুক সমমান পানি ছিল। কোথাও পানি না থাকলেও এখানে ঠিকই এখানের সড়কে পানি জমে থাকে। বসবাস করাটাও নাভিশ^াস হয়ে ওঠেছে। দুর্গন্ধের কারণে দুর্বিশহ হয়ে ওঠেছে যাতায়াত।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহীন বলেন, ‘পানিবন্দী জীবন এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এসব ময়লা পানি মাড়িয়েই আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। সব স্থান থেকে পানি সঙ্গে সঙ্গে নেমে গেলেও এ এলাকার পানি কয়েকদিন পর নামে। ড্রেনগুলো সরু আর আবর্জনায় ভরপুর থাকার কারনে পানি নামতে পারে না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, রেল গেটের পর শ্যামলী আবাসিকের প্রবেশ পথ থেকে সুন্নিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত মূল সড়কের মধ্যেই থইথই করছে পানি। মাদ্রাসার পার্শ^বর্তী সড়কেও পানি থাকার দৃশ্য দেখা যায়। সুন্নিয়া মাদ্রাসার মসজিদের সামনে সামান্য অংশে পানি না থাকলেও এরপর থেকে মহিলা মাদ্রাসা অপর পাশে নাপিত পাড়ার মুখ পর্যন্ত সড়েক হাঁটুর নিচ পর্যন্ত পানিতে থইথই করছে সড়ক। পানির মধ্যেই রিকশাসহ অন্যান বাহন চললেও খানাখন্দকের কারণে বারবার গাড়ি আটকে যাওয়ার দৃশ্যও দেখা যায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, ‘স্থানটি অন্যান্য এলাকার তুলনায় প্রচুর নিঁচু। যার কারণে পানি জমে থাকে। তবে পূর্বের তুলনায় এখন অনেকাংশেই পানি কম ওঠে। সড়কটি বহু আগেই উঁচু করার যেতে পারতো। তবে পাশেই জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলমান। সে কাজ শেষ না করে সড়ক উঁচু করা যাবে না। রেল ক্রসিং থেকে তালতলা পর্যন্ত প্রায় ৬ ফুট সড়ক উঁচু করা হবে। সেটি সময়ের ব্যাপার। কাজ হয়ে গেলে তখন আর দুর্ভোগ থাকবে না।’
ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সিলর মোবারক আলী এমন অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বর্ষার শুরু হওয়ার পর অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
পূর্বকোণ/পিআর