সাত বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আংশিক এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসীনকে সভাপতি ও একই বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অর্থনীতি বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের মামুনুর রশিদ মামুন, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মো. ইয়াসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দর্শন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় মনোনীত হয়েছেন। এর মধ্যে সাজ্জাদ ছাড়া বাকি কারো ছাত্রত্ব নেই।
কমিটিতে সভাপতি আলাউদ্দিনকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া তিন নেতা। তাদের দাবি, কমিটিতে সক্রিয় ও যোগ্যদের সভাপতি পদে মূল্যায়ন করা হয়নি।
সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলাম। আমার ত্যাগ এবং কাজকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। আমার চেয়ে ভালো কাউকে সভাপতি করলেও মেনে নিতে পারতাম।
সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন বলেন, মাঠে-ময়দানে না থাকা নেতা তদবিরের মাধ্যমে সভাপতি হয়ে গেছেন। আমরা লিখিতভাবে বিষয়টির প্রতিবাদ জানাবো।
সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসীন বলেন, একটা কমিটি দেওয়ার আগে সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই দেওয়া হয়। আমাদের কমিটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো কমিটি হয়েছে এবার। সিনিয়র সবাই পদ পেয়েছেন। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সারাদেশে যে আন্দোলন চলছে তা বেগবান করার জন্য কাজ করে যাবো।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও শহীদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত বছরের ১১ নভেম্বর ছাত্রদলের ২৪৩ সদস্যের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ।
পূর্বকোণ/রায়হান/জেইউ/পারভেজ