চট্টগ্রামের রাউজানে নিজের প্রজেক্ট থেকে ফেরার পথে হালদার শাখা নদীতে ডিঙ্গি নৌকা ডুবে নিখোঁজ ব্যবসায়ী সাহেদ হোসেন বাবুকে (৩৫) উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি দুইদিনেও।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে সারাদিন নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের দুটি বিভাগীয় ডুবুরি টিম ওই খালে ব্যাপক তল্লাশি করেও সন্ধান পায়নি। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার বেশি তল্লাশি শেষে ফিরে যায় ডুবুরি দল। কাল বুধবার আবার একইভাবে তল্লাশি করবে বলে জানিয়েছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেন আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের দুটি বিভাগীয় ডুবুরি টিম।
এ টিমের প্রধান আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে আমাদের ২টি ইউনিটের ১১ জন কাজ করেছে লোকটিকে উদ্ধারের জন্য। খালের যে স্থানে নৌকা ডুবি হয়েছে, সে জায়গাসহ খালের বিভিন্নস্থানে আমাদের টিম তল্লাশি চালান। তবে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সাড়ে ৭টার দিকে অভিযান আজকের মতো শেষ করে আমরা ফিরে আসি। আগামীকাল আবার একইভাবে অভিযান করা হবে।
উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম, মহিউদ্দিন ইমন, সাইফুদ্দিন আত্তারীসহ অনেকে বলেন, সকালে রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তার সামনেই ডুবুরি দল একদফা তল্লাশি চালায়।
নিখোঁজ সাহেদ উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর উরকিরচর গ্রামের উজির আলী মিয়াজির বাড়ি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম এস.এম ইউছুফের বড় ছেলে। সোমবার বাড়ির অদূরে পার্শ্ববর্তী হাটহাজারী উপজেলার অংশের বাড়িঘোনায় তার প্রজেক্টটি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় কয়েকজনসহ ওই প্রজেক্টে যান সাহেদ। সেখানে মাছ ধরাসহ নানা কাজ সেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজের ডিঙ্গি নৌকায় করে নিজে বৈঠা ধরে ফিরছিলেন। একপর্যায়ে হালদা নদীর শাখা খাল বাড়িঘোনা খালের উপর নির্মিত লোহার ব্রিজের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যান সাহেদসহ ৫ জনই। এ সময় ৪ জন সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও বন্যার পানির স্রোতে খালে তলিয়ে যান ব্যবসায়ী সাহেদ। বেঁচে যাওয়াসহ স্থানীয় অনেকে তাকে খুঁজে পাননি। রাতেই ঘটনাস্থলে যান থানা পুলিশ, রাউজান ফায়ার সার্ভিসের টিম। তারা ব্যর্থ হলে ডুবুরি দল এসেও খোঁজ পায়নি এ ব্যবসায়ীর। সাহেদের ৪ বছর বয়সী ‘ইউহান’ নামের এক ছেলে রয়েছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ