চট্টগ্রাম সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাতির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমৃত্যু লড়াই বঙ্গবন্ধুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে পা রেখেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আজ থেকে আমার অনুরোধ, আমার আদেশ, আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই- এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি আমার বাংলার মা-বোনরা কাপড় না পায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণতা হবে না যদি এ দেশের মানুষ, যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।

 

দেশের উন্নয়নের জন্য ডাক দিলেন এভাবে- যথেষ্ট কাজ পড়ে রয়েছে। আপনারা জানেন, আমি সমস্ত জনগণকে চাই, যেখানে রাস্তা ভেঙে গেছে, নিজেরা রাস্তা করতে শুরু করে দাও। আমি চাই জমিতে যাও, ধান বোনাও, কর্মচারীদের বলে দেবার চাই, একজনও ঘুষ খাবেন না, আমি ক্ষমা করব না।

 

যে জাতির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন জীবনের স্বর্ণালী সময়, সেই বাঙালি জাতিকে তিনি দেখতে চেয়েছেন এক মর্যাদার আসনে।

 

জাতির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন আমৃত্যু। ঝিমিয়ে পড়া জনগণকে জাগিয়ে তুলতে আওয়াজ তুলেছেন বজ্রকণ্ঠে, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত নাই। শোষণহীন সমাজ কায়েমই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য। আর এজন্য কৃষক, শ্রমিক, জনতার ঐক্য গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশকে বানাতে চেয়েছিলেন প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির, তাঁর সেই স্বপ্নপূরণের আগেই বাংলার আকাশ ঢেকে গিয়েছিল ঘোর অমানিশায়। বুলেটে ক্ষত বিক্ষত জাতির পতাকায় খামচে ধরা শকুনের উল্লাস। তক্ষকের খাণ্ডবদাহে দুর্যোধনের অট্টহাসি।

 

তিন দশকের চন্দ্রগ্রহণের বন্দিশালায় বিবর্জিত মানবতা, বিপন্ন বিবেক। তবে হার মানেনি বীরের জাতি। যে স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু, যে স্বপ্নের জন্য সপরিবারে জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়ে শোধ করেছেন রক্তঋণ, জনকের সেই পবিত্র রক্তের শপথে বলীয়ান তার উত্তরসূরিরা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান আজও বাঙালির চেতনার বাতিঘর, সোনার বাংলা বিনির্মাণের আলোকবর্তিকা।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট