বৈধ নথিপত্র না থাকায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে গতকাল শনিবার ৪২৫ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ, যাদের মধ্যে ২৫২ জন বাংলাদেশিও রয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে এ খবর উঠে এসেছে।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক শামসুল বাদরিন মহসিন জানান, দুই সপ্তাহব্যাপী তদন্ত ও নজরদারির পর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
অভিযানের পর এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি জানান, রাত ১-৪টা পর্যন্ত ৬০ জন কর্মী অভিযানটি পরিচালনা করে। এ সময় বৈধ পরিচয়পত্র না থাকা, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবস্থান ইত্যাদি কারণে ৪২৫ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ২৫২ জন বাংলাদেশের, ১০৮ জন মিয়ানমারের, ২ জন ফিলিপাইনের, ৩০ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৬ জন কম্বোডিয়ার, ২০ জন নেপালের এবং ৭ জন পাকিস্তানের নাগরিক; এদের সবার বয়স ৮ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা বেশি এবং তারা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছেন।
এই কর্মকর্তা জানান, আটককৃতরা নির্মাণকাজ ও পরিচ্ছন্নতা সহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত ছিল।
তিনি আরও জানান, অভিযান চলাকালে আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার এড়াতে বোতলসহ বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ করে সহিংসপূর্ণ আচরণ করে, যদিও এতে কারো আহত হওয়ার খবর মেলেনি।
তবে ইউএনএইচসিআর কার্ড এবং বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকার পরেও কর্মকর্তারা কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তুলে নেন।
শামসুল বাদরিন মহসিন এ প্রসঙ্গে বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের ক্ষেত্রে তাদের অ্যাসোসিয়েশন বা এথনিসিটির (জাতিসত্ত্বা) ভিত্তিতে কার্ড ছিল কিন্তু সেগুলো এখন আর ব্যবহারের জন্য বৈধ কিংবা স্বীকৃত নয়।
আটক হওয়া সকলকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আগে বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পূর্বকোণ/পিআর