শসা শীতকালীন সবজি হলেও বাজারে বারো মাসই পাওয়া যায়। এতে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সবরকম পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শসাতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আবার অতিরিক্ত ওজন কমাতে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শসার কোন জুড়ি নেই।
শরীর সচল রাখতে প্রচুর ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। সেই ভিটামিনের যোগান দিতে শসা খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি এবং এ আছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
নিয়মিত শসা খেলে ছোট-বড় কোন রোগই কাছে ঘেঁষতে পারবে না। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যাস করলে মেলে অনেক উপকার। যেমন, শসা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। প্রতিদিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ১০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম ও ১২ শতাংশ মেঙ্গানিজ রয়েছে শসায়। এতে প্রায় ৯৬ ভাগ জল আছে। তাই দেহের জলের অভাব পূরণ করে।
শসা শরীরকে করে বিষমুক্ত। শসার জল দেহের অন্দরে প্রবেশ করে জমে থাকা টক্সিক উপাদনকে ধুয়ে মুছে বের করে দেয়। ফলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত তরল পদার্থ ধ্বংস করে। খনিজ পদার্থের ঘাটতি মেটায়। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
শসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও সিলিকন রয়েছে। এই সবকটি খনিজ উপাদান শরীরের উন্নতির পাশাপাশি ত্বকের লাবণ্যতা বাড়ায়।
পূর্বকোণ/মাহমুদ