ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘ডিসেম্বরে খেলা হবে’ শীর্ষক বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের নেতারা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়, তাদেরকে আবার গেট থেকে গ্রেপ্তার করে। কতটা ভীরু, কাপুরুষ হলে জেল গেটে নেতাদের গ্রেপ্তার করে। খুব তো বলেছিলা, খেলতে চাও, খেলতে চাও। ডিসেম্বরে খেলতে চাও। সব বাদ দিয়ে; ক্ষমতাটাকে বাদ দিয়ে; নিতম্বটাকে চেয়ার থেকে সরিয়ে; দয়া করে একটু রাস্তায় আসো, খেলা হোক। ভোট হোক। আমি দুঃখিত আজকে এভাবে বলতে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে বলা ছাড়া কোনও উপায় নাই।’
শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডাক্তার জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর ও জেলা বিএনপি এই সমাবেশ আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদেরকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছেন ‘কোনও চাপে আছেন কি না’- তিনি বললেন, ‘কোনও চাপে নেই, তবে বিবেকের চাপে আছি।’ আসলে সরকার চোখে অন্ধকার দেখছে। তাই তারা একেক সময় একেক কথা বলছে।
তিনি বলেন, আজকের দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরকার প্রধানের বিরুদ্ধেও ১৫টি মামলা হয়েছিল। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মামলাগুলো নাই করে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সরকার আজ তাদের পদোন্নতি দিচ্ছেন। আজ সমগ্র দেশে দুর্নীতি মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
ফখরুল বলেন, বিনা অপরাধে আমাদের নেতাকর্মীদের জেলে নেওয়া হচ্ছে, ফাঁসির আদেশ দেওয়া হচ্ছে। যারা অবৈধ রায় দিচ্ছেন সেইসব বিচারপতিদের আল্লাহর কাছে একদিন জবাব দিতে হবে। এই ন্যায় বিচারের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। অতীতের কথা সবসময় স্মরণ রাখবেন। সেই শ্লোগানের কথা ভুলে যাবেন না- বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে সেই জনতা।
তিনি বলেন, আজকে চাল-ডাল, বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বেড়েছে। সেদিকে সরকারের কোনও দৃষ্টি নেই। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভিসা পান না। ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ। সেদিকে সরকারে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু তাদের একটাই চিন্তা-কীভাবে ক্ষমতায় ধরে রাখা যায়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জেইউ/এএইচ