২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগ থেকে নিজেকে নির্দোষও দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতে শুনানির পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের বিষয়ে আনা অভিযোগের শুনানি হয়। শুনানি শুরুর পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পড়ে শোনান বিচারক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কত বছরের সাজা হতে পারে সেটিও ট্রাম্পকে জানানো হয়। তবে এসময় ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
পরে বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আগামী ২৮ আগস্ট। অবশ্য আদালতে হাজির হওয়ার আগে ধারণা করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তবে শুনানিতে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তারের আবেদন করেনি। তবে এর বিপরীতে তাকে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি মামলার আসামি হিসাবে এ নিয়ে গত চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বার আদালতে উপস্থিত হলেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তবে বৃহস্পতিবারের শুনানির পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিপীড়ন।
শুনানি শেষে নিউজার্সিতে বাড়ি ফেরার আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা ‘আমেরিকার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক দিন’।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে দিন দু’য়েক আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে – যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র করা, সাক্ষ্য জাল করা এবং নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল, সেটি তদন্ত করতে গিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়। তবে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এছাড়া ট্রাম্পকে ইতোমধ্যে আরও দু’টি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার একটি হচ্ছে- সংবেদনশীল নথিপত্র ব্যবস্থাপনায় গাফলতি করা এবং ব্যবসায়িক তথ্য জাল করার কথা গোপন রাখার জন্য একজন পর্ন তারকাকে তার মুখ বন্ধ রাখার শর্তে ঘুষ দেওয়া।
পূর্বকোণ/এসি