বিএনপি আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াওসহ নাশকতা করছে জানিয়ে আগামীকাল রবিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচির কথা জানান।
তিনি বলেন, এক দফার নামে বিএনপি এটাই করতে চেয়েছিলো। তারা শুক্রবারই জ্বালাও-পোড়াও শুরু করতে চেয়েছিলো। কিন্তু ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ তারুণ্যের সমাবেশের ভয়ে করতে পারেনি।
কাদের বলেন, তারেক রহমান প্রতিনিয়ত আদালত অবমাননা করছে। তিনি অশ্রাব্য ভাষায় সুপ্রিম কোর্টকে গালাগাল করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান লাশ ছাড়া কথা বলেন না। সমাবেশে তিনি একটা লাশের বিপরীতে ১০টা লাশ ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কাদেরের প্রশ্ন, তারেক রহমান কি আইনের ঊর্ধ্বে। তার কথার প্রতিধ্বনি বিএনপির করে, তারা কি আইনের ঊর্ধ্বে?
তিনি বলেন, বিএনপি আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ পুনরাবৃত্তি শুরু করে দিয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে প্রধান বাধা বিএনপি। সেটা আজকের বিএনপির সহিংস ঘটনায় সেটা প্রমাণিত হয়েছে। তাই নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক অবস্থায় থাকবে আওয়ামী লীগ।
শনিবার সকাল ১০টার পরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আসেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তার সঙ্গে দলের অন্য নেতাকর্মীরাও ছিলেন। সেখান থেকে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন।
এদিন ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচিতে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ কিছু বাসে আগুন দিয়েছেন। এঘটনায় বিএনপির ৯০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ