চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন কাস্টম ব্রিজ এলাকায় ট্রেইলর চাপায় এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহত নূরে আলম বন্দর ডিভিশনের ট্রাফিক কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মজলিশপুর এলাকায়। এ ঘটনায় ট্রেইলরের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ট্রেইলর চালক শামীম খান (২৮) ও হেলপার মো. সেলিম ওরফে লিটন (৩৬)। শামীম খান বাগেরহাট জেলার মোরলগঞ্জ থানার আব্দুস সালামের ছেলে ও সেলিম ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার মো. মুছলিমের ছেলে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় রাতে নগরীর কাস্টম ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, গতকাল রাতে কাস্টম ব্রিজ এলাকায় একটি বেপোরোয়া ট্রেইলর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে যায়। এ সময় গাড়ির ওপর থাকা একটি পণ্যভর্তি কন্টেইনার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নূরে আলমের ওপর পড়ে। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ র্যাকার দিয়ে একঘণ্টা চেষ্টার পর কন্টেইনার সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ট্রেইলরটি আটক করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে গাড়িটি তল্লাশি করে শামীম খানের নামে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, চালক শামীম খান সেদিন নিজে গাড়ি না চালিয়ে বেআইনিভাবে হেলপার সেলিমকে চালাতে দেয়। সেলিম বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে কাত হয়ে পড়লে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ নূরে আলমকে কন্টেইনার চাপা দেয়। এ ঘটনায় রাতেই বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকা থেকে শামীম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেন মূল চালক শামীম। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে- ফেনীর সোনাগাজি এলাকা থেকে হেলপার সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় সার্জেন্ট মো. ইমরান উদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ