মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোই এখন বাংলাদেশ নিয়ে খেলায় মেতেছে। বিএনপির মানবাধিকার রক্ষায় অনেকে এখন উদগ্রীব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রোমে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে দূত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাও তো ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বিদেশে থেকেছি। আমাদের এতো টাকা ছিল না, নুন আনতে পান্তা ফুরিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিএনপি ঘরনার অনেকেই বিদেশে আছেন। কেউ কেউ অপরাধী। তারা দেশের বাইরে পলাতক হিসেবে আছে। তারাই দেশের নামে বিভিন্নজনের কাছে চিঠি লিখে বদনাম করে বেড়াচ্ছে। নিজেরা দেশের উন্নতি করতে না পারলেও, বিএনপি অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, দেশের ক্ষতি করছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপির চরিত্র অগ্নিসন্ত্রাস। নির্বাচন ঠেকানোর নামে তারা ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২৯টি ট্রেনে আগুন দিয়েছে। বাস জ্বালিয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তারা আবার মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এটা আমাদের স্লোগান। আমরা ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছি।
বিএনপি তো নির্বাচনই করেনি। তারা আবার ভোটের অধিকারের কথা বলে। ২০১৮ এর নির্বাচনে তাদের প্রতি আসনে দুই-তিন জন করে দাঁড়িয়েছিল। যে যতো টাকা দিয়েছে তাকেই নমিনেশন দিয়েছে। এরপর নিজেদের মধ্যেই গোলমাল। এরপর তারা আবার নির্বাচন বর্জন করল। তাহলে কারচুপির প্রশ্নটা এলো কোথা থেকে?, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শ্রমিক অধিকার নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, লেবার ল’ শ্রমিকদের কল্যাণের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই করেছি। আইএলও কনভেনশনের চারটি প্রটোকলের মধ্যে চারটিই আমরা করে দিয়েছি। কিন্তু বিশ্বের অন্য বড় দেশ, যারা প্রশ্ন তুলছে তারা দুইটার বেশি করেনি।
তিনি বলেন, তাদের দেশে কোনো শ্রমিক স্ট্রাইক করলে সাথে সাথে চাকরি থেকে বের করে দেয়। আমরা কিন্তু মানবিক দিকটা দেখি। এই করোনার সময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দিয়েছি। সেখানে আমাদের প্রচুর ভর্তুকি দিতে হয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছি। গরিবদের নগদ টাকায় সাহায্য করেছি। আমাদের সাহায্য থেকে কেউ বাদ যায়নি।
মানবাধিকার নিয়ে আমাদের দেশে যারা কথা বলে, তারা কোনোদিন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবধিকার যদি সংরক্ষণ করে তাহলে তা আওয়ামী লীগই করে। আর যারা এসব নিয়ে কথা বলে তারা মানুষ হত্যা করে। আজকে যদি মানবাধিকারে বিশ্বাসই না করতাম তাহলে রোহিঙ্গারা আশ্রয় পেত না। শুরুর দিকে কয়েকমাস তো আমাদেরই দেখতে হয়েছে। এরপর সাহায্যকারী সংস্থাগুলো এসেছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ