জাপান ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টায় পূর্ণ সহযোগিতা করবে। সোমবার (২৪ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনায় জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী (এমইটিআই) নিশিমুরা ইয়াসুতোশি একথা বলেছেন।
নিশিমুরা চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথভাবে ঘোষিত কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ উল্লেখ করেন। তিনি জাপানের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্পে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের তরুণ ও উদ্যমী জনসংখ্যার পাশাপাশি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অবস্থানের প্রশংসা করেন। প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গত দেড় দশকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতার চলমান মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের একটি স্মার্ট ও উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এ ধরনের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এ ছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। তিনি একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশে বিদ্যমান অগ্রাধিকারমূলক আচরণ বজায় রাখার কথা পুর্নব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী নিশিমুরা জানিয়েছেন, জাপান বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশকে দেওয়া অগ্রাধিকারমূলক আচরণ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। এই বিষয়ে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সাহায্য করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য মন্ত্রী নিশিমুরাকে ধন্যবাদ জানান।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ